ইতিমধ্যেই প্রতিপালক তাসলিম বাবু দুম্বা প্রতিপালন করে বানিজ্যিক ভাবে সাফল্য লাভ করেছেন। তার দাবি, মরুভূমির দেশের দুম্বা পালনের জন্য ইতিমধ্যেই বাংলার আবহাওয়া অনুকূল হয়ে উঠেছে। তাই মরুভূমির দেশের মতোই শিল্পাঞ্চলের মাটিতেও তরতর করে বেড়ে উঠছে তুর্কির দুম্বা। যদিও পালনকারী এই দুম্বাগুলি নিয়ে এসেছেন হরিয়ানা থেকে। ২০১৯ সাল থেকে শুরু করেছেন পালন।
advertisement
তিনি আরও জানিয়েছেন, দুম্বার চাহিদা রাজ্য সহ বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে মুনাফাও ভাল হচ্ছে। তাসলিম বাবু নিজের পালন করা দুম্বাগুলি সময়ে সময়ে কলকাতায় বিক্রি করে দেন। সেখান থেকে এই দুম্বা চলে যায় পড়শী বাংলাদেশেও। ঠিকঠাক বড় হওয়া একটি দুম্বা বিক্রি করে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত পান পালনকর্তা। যার ফলে ঠিকঠাকভাবে পালন করতে পারলে প্রতিটি দুম্বা পিছু ভালই লাভ করতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন: দিঘা যাচ্ছেন? এই মুহূর্তে কী পরিস্থিতি জানেন! অবশ্যই জেনে তারপর প্ল্যান করুন…
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাসলিম বাবু ২০১৯ সালে ইচ্ছাপুর এলাকায় একটি ছাগলের খামার তৈরি করেন। সেখানে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব সহ হরিয়ানার নানান প্রজাতির ছাগল ও ভেড়া তিনি প্রতিপালন শুরু করেন। তার মধ্যে দিয়ে আসতে আসতে তিনি শুরু করেন দুম্বা প্রতিপালন আর সেখান থেকে বাণিজ্যিকভাবে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সর্বনাশ! আশোকনগরে ডাস্টবিনে ওগুলো কী! মাথায় হাত কত মানুষের
তাসলিম বাবু জানিয়েছেন, হরিয়ানা থেকে বেশ কয়েকটি দুম্বা শাবক তিনি নিয়ে প্রথমে তার খামারে আসেন। তখন তিনি জানতেন না মরুর দেশের এই প্রাণীগুলি শিল্পাঞ্চলের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারবে কিনা। কিন্তু তিনি লক্ষ্য করেন, পশ্চিম বাংলার জলবায়ুতে ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে দুম্বাগুলি। কয়েক মাস যাওয়ার পর দুম্বাগুলি বংশ বিস্তারও শুরু করে দেয়।
তিনি দেখতে পান, দেড় বছরের মধ্যে এক একটি দুম্বার ওজন এক কুইন্ট্যালের অধিক হয়ে যাচ্ছে। যেগুলি কলকাতার বাজারে বিক্রি করে ভালই লাভ পাচ্ছিলেন। আর তখন থেকে ধীরে ধীরে দুম্বা প্রতিপালনের বিশেষভাবে জোর দেন তাসলিম বাবু। তারপর থেকে তিনি ধীরে ধীরে দুম্বা ব্যবসায় নিজের হাত পাকিয়ে ফেলেছেন।
—– Nayan Ghosh