আর সামুদ্রিক প্রজাতির বেলুন ফিশ প্রতিটিই মারাত্মক বিষাক্ত বলেই পরিগণনিত হয়। মিঠা জলের এক থেকে দুই প্রজাতির বেলুন ফিসের দেখা মেলে নদী ও খালবিলে৷ যদিও ভারতের নদী ও খালবিলে ওই দুই প্রজাতির কোনও বংশ নেই। বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি নদী ও খালবিলে ওই দুই প্রজাতির বেলুন ফিস পাওয়া যায়। একটি বেশ বিষাক্ত ও আরও একটি প্রজাতি বিষহীন বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
একপ্রকার এই মাছ খাওয়া বেশ বিপদজনক। এই মাছ খেয়ে বহু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বাংলাদেশে৷ ভারতের বা পশ্চিম বাংলায় নদী ও খালবিলে এই মাছের তেমনভাবে দেখা মেলেনি। সমুদ্র ও সাগরে অর্থাৎ নোনাজলে বেলুন ফিশ পাওয়া যায় ভারতে৷ এমনকি একসময় দামোদর নদে এই মাছ ছিলনা বা কখনও দেখা মেলেনি বলে দাবি মৎস্যজীবীদের। এই নদে মাছ কমে যাওয়ায় দেশি ও মিঠা জলের মাছ ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় সরকারি ভাবে। ২০১৪ সালে দামোদর নদের দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধারে সরকারি ভাবে দেশি মাছের চারা ছাড়া হয়।
দুর্গাপুরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় এক হাজার মৎস্যজীবী রয়েছেন। যাঁরা কেবল দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধারে মৎস্য শিকার করে জীবন-জীবিকা অর্জন করছেন প্রায় ৫০ বছর ধরে। তাঁদের দাবি, ২০১৮ সালে সরকার থেকে মাছের চারা ছাড়ার সময়ই “বেলুন ফিস ” নামে পরিচিত ওই মাছের চারা চলে এসেছে। ওই সময় থেকে মৎস্যজীবীদের জালে বেলুন ফিস ধরা পড়ছে। ওই বেলুন ফিস দেখতে বহু কৌতুহলী মানুষ প্রায়ই আসছেন। এমনকি এলাকার বহু বাসিন্দা বেলুন ফিস খাচ্ছেন বলে দাবি মৎস্যজীবীদের। পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও রফতানি হয়।
মৎস্যজীবীদের আরও দাবি, অদ্ভুত দর্শনের এই মাছটি যাঁরা দেখেননি তাঁরা একবার দেখে বেশ আবাক হবেন। এই মাছ জলে ভেতর যখন থাকা কোনও বড় মাছ শিকার করতে চায় তখন সে নিজের পেটের ভেতর জল ভরে বেলুনের মত ফুলে বড় মাছের আকার ধারণ করে নিজের আত্মরক্ষা করে। বা এটাও বলা হয় বেলুন ফিস ভয় পেলে বেলুনের মত ফুলে বলের আকার নেয়। ডাঙায় তুললে বায়ু গ্রহণ করে পেট ফুলিয়ে বেলুন হয়ে যায়।





