মার্কনি দক্ষিণপল্লীর পুজো কমিটির এবারের থিম ছিল থাইল্যান্ডের স্যাংচুয়ারি অব ট্রুথ মিউজিয়াম।
তাঁদের মণ্ডপ গড়েছেন মেদিনীপুরের কাঁথির সুখ্যাত শিল্পী সুতানু মাইতি। মণ্ডপ চত্বরে বেজে চলেছে মন শান্ত করা থাইল্যান্ডের মিউজিক। তৃতীয়া থেকেই দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় জমে মণ্ডপ দর্শনে। অন্যদিকে অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির থিম ছিল থাইল্যান্ডের বৃহত্তম বৌদ্ধ মন্দির ওয়াট অরুণ। গগনচুম্বী ওই মণ্ডপের উচ্চতা ১৫০ ফুট। চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ দেখতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। দুর্গাপুর উর্বশী সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির এবারের থিম ছিল এক টুকরো পঞ্জাব। ৮০ ফুট উচ্চতার সোনালী রঙের নজরকাড়া দুর্গিয়ানা মন্দির দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে তোলে। সিটিসেন্টারে চতুরঙ্গ সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির থিমে প্রতি বছরই থাকে অভিনবত্বের ছোঁয়া। এবার বাংলার হস্ত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মেলবন্ধনে সেখানে গড়ে ওঠে তাক লাগান মণ্ডপসজ্জা। বাঁশ, বেত, কাঠের বাটাম, শুকনো আঁকাবাঁকা ডালপালা, হোগলা পাতা, পাট, কাপড় ও ডোকরার মূর্তি সহ ফাইবারের নানান মডেল দিয়ে। এক কথায় বাংলার সমস্ত রকমের হস্ত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের নিদর্শন মিলেছে ওই মণ্ডপে। মণ্ডপ গড়েছেন মেদিনীপুরের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা।
advertisement
দুর্গাপুর শঙ্করপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ ছিল দিঘার জগন্নাথ ধাম মন্দির।তাঁদের মণ্ডপ ও প্রতিমা-সহ আলোকসজ্জা দেখতে দর্শনার্থীদের লাগামছাড়া ভিড় হয়। হুবহু দিঘার জগন্নাথ মন্দির গড়ে তুলেছে ওই পুজো কমিটি। জগন্নাথ মন্দিরের মতই সেখানে জগন্নাথদেবের ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থাও করা হয়। দর্শনার্থীদের কাছে এ যেন শহরে বসেই জগন্নাথ ধাম দর্শন করা। দুর্গাপুরে অন্যতম বিগ বাজেটের পুজো ডুমুরতলা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির এবারের থিম পরিবেশ।
পরিবেশ থেকে সংগৃহীত প্রাকৃতিক সামগ্রী দিয়েই গড়ে উঠেছে তাঁদের বিশালাকার মণ্ডপ। পরিবেশ রক্ষার বার্তা ওই মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা।