আকর্ষণীয় ওই মণ্ডপ প্রস্তুত করতে এক প্রকার কর্মযজ্ঞ চালাছেন শিল্পী সহ ৩০ জন কর্মী। কী থাকছে ওই বিশেষ মণ্ডপে! পুজো কমিটির দাবি প্রতিবছরের মত এই বছরও তাঁদের থিম দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে। প্রতি বছরের মত এই বছরও মিলবে সেরার শিরোপা বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। বিগ বাজেটের পুজোর পাশাপাশি ওই কমিটি অভিনব সমাজকল্যাণ মূলক কার্যকলাপে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিবছর।
advertisement
আরও পড়ুন : শিউরে উঠবেন! বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়ারা যা করছে, আপনার কল্পনাকেও হার মানাবে
তাঁরা এলাকার প্রায় ৫০০ জন দুঃস্থ মহিলাদের বস্ত্র দান করেন। এখানেই শেষ নয়। তাঁরা এলাকার দুঃস্থ পরিবারের বৃদ্ধ – বৃদ্ধাদের বাসে করে শিল্পাঞ্চলের বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপ গুলি পরিক্রমা করায়। প্রায় ৫০ জন বৃদ্ধ – বৃদ্ধাকে নিয়ে প্রতিবছরই পুজো পরিক্রমা করেন। অষ্টমীতে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করা হয়। বিগবাজেটের এই পুজো কমিটি লক্ষ লক্ষ টাকা কেবল মণ্ডপসজ্জা এবং প্রতিমাতেই ব্যয় করেনা। মানবিক ও সামাজিক কাজেও তাঁরা নজির গড়েছেন ইতিমধ্যেই। গত বছর তাঁদের আকর্ষণীয় থিম ছিল “ডাকঘর”।
আরও পড়ুন : হাতির ভয়, অন্ধকার জঙ্গল, কাঁচা রাস্তা! তবুও শিক্ষার আলো পৌঁছে দেন এই মানুষটি
সেকালে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমকে পুজোর থিমে তুলে ধরে তাক লাগিয়েছিল। এবারও তাঁদের থিম বেশ আকর্ষণীয় হবে বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের। তাঁদের পুজো চলতি বছরে ৩৪ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। বাঁশ, মাটি ও খড় দিয়ে তৈরি মণ্ডপের উচ্চতা ৬০ ফুট। পাশাপাশি ৬০ ফুট এলাকা জুড়ে গড়ে উঠছে সম্পূর্ণ মণ্ডপটি। হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার স্নিগ্ধ পরিবেশের মাঝে থাকছে সম্পূর্ণ মাটির তৈরি মন্ডপসজ্জা।
আরও পড়ুন : জলেই রোজগারের রাজত্ব! কচুর লতি চাষেই বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি! চমকে দিচ্ছেন মহিলারা
মণ্ডপের অন্দরমহলে থাকছে খড়ের তৈরি কৃষক পরিবারের ২০০ টি মডেল। থাকছে খড়ের তৈরি আকর্ষনীয় বিশালাকার ৪ টি ঝাড়বাতি। খড়ের তৈরি মহিষ, কোদাল, ঝুঁড়ি, ঝাঁটা, গরুর গাড়ির চাকা ইত্যাদি নানান গ্রামের বাড়ির সরঞ্জাম। সম্পূর্ণ মণ্ডপটি খড় ও কাপড় দিয়ে বিনুনি বানিয়ে মিটারের পর মিটার বঢ় তৈরি করে গড়ে তেলা হচ্ছে। হাল, লাঙ্গল সহ থাকছে ধানের চারা রোপণের সুন্দর দৃশ্য। ইতিমধ্যেই ধানের চারা তৈরি করা হচ্ছে।পুজো কমিটি দাবি, তাঁদের এই বছরের থিম অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে দর্শনার্থীদের কাছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সম্পাদক সত্যজিৎ রায় বলেন , ফুলঝোড় একসময় তথা ৭০ দশকে গ্রাম ছিল। বর্তমানে পুরসভা এলাকা হলেও অনেকেই ফুলঝোড় গ্রাম বলে জানেন। বর্তমানে বহু বহুতল আবাসন গড়ে উঠেছে। চারিদিকে বড় বড় রাজপ্রাসাদের বাড়ি অট্টালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। গ্রাম্য পরিবেশের সেই পুজোর স্বাদ যেন কংক্রিটের জালে বিলীন হয়ে গিয়েছে। সেই স্বাদ পেতে ও অনুভব করতে এবারে আমাদের থিম ” মাটির টানে”। পুজোকে কেন্দ্র করে আমাদের কোনও সাংস্কৃতিক বা বিচিত্রানুষ্ঠান হয়না।