বিশ্ব নেকড়ে দিবসে দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে একটি বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজির হয়েছিলেন দক্ষিণবঙ্গের মুখ্য বনাধিকারিক বিদ্যুৎ সরকার, দুর্গাপুর বন বিভাগের বনাধিকারিক অনুপম খান, বর্ধমান বনবিভাগের বনাধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা, দুর্গাপুর বনাঞ্চলের রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বন দফতরের কর্মীরা।
আরও পড়ুন : সংসারের চাপে শাড়ি পরে ভ্যান টানছেন মহিলারা! দুর্গাপুরে রোজ দেখা যায় এই ছবি
advertisement
এই সংস্থার সংরক্ষণ কর্মীদের মতে, ধূসর নেকড়ে ও হায়না শুধু শিকারি নয়, তারা বনজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষাকারী। সংস্থাটির গবেষণা এই বিপন্ন প্রাণীদের রক্ষায় নতুন আশা জাগাচ্ছে। বন দফতরের তরফে আরও জানানো হয়, কাঁকসার মলানদিঘির বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে নেকড়ের প্রজনন বাড়ছে। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মাধাইগঞ্জের জঙ্গলেও দেখা যাচ্ছে সেইসব প্রজাতির নেকড়েদের প্রজনন।
আরও পড়ুন : অদ্ভূত নেশায় বুঁদ! বাবা মাকে লুকিয়ে চলত কাজ, কিশোরের কারিগরী দেখলে চমকে যাবেন
এই বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতামূলক করা হচ্ছে। সংস্থার সদস্যরাও এই ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। বন্যপ্রাণের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এদিনের অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ছিল, যদি এই প্রাণীরা হারিয়ে যায়, তবে হারিয়ে যাবে বনের প্রাণও।