অর্পণ চক্রবর্তী, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে এবার বড় মোড়! পাঁচ দিন পর নতুন করে সেই ঘটনাস্থল জঙ্গল ঘিরল পুলিশ। ঘটনার প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর যে জায়গাটি প্রথমে ঘিরে রাখা হয়েছিল, সেখানেই ঘটেছিল সেই নারকীয় ঘটনা। কিন্তু এবার দেখা গেল, পুলিশের নজর আরও বিস্তৃত। আগের ঘেরা জায়গার পাশেই আরও ৫০ মিটার এলাকা নতুন করে কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
তাহলে কি নতুন কোনও ফরেন্সিক প্রমাণের খোঁজ মিলেছে? নাকি তদন্তে এসেছে নতুন কোনও মোড়? তদন্তের গতিবিধি দেখে অনেকেই বলছেন, পুলিশ এখন তদন্তের আরও গভীরে নামছে।
ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে নির্যাতিতার সহপাঠীও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ কমিশনার সাংবাদিক বৈঠক করার অনতিবিলম্বে ওই যুবককে পাকড়াও করে পুলিশ। ডাক্তারি ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ছয়।
দুর্গাপুরের ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করেছেন এক জনই। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকিদের ভূমিকা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার ঘটনার চার দিন পর এমনই জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবারই নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। দুপুরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে পরানগঞ্জের সেই জঙ্গলে যায় পুলিশ। সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে আসানসোল-দুর্গাপুরের কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।’’ তিনি জানান, সহপাঠী শুক্রবার রাতে ঘটনার সময় যে পোশাক পরেছিলেন, সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সমস্ত অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা হবে।
এদিকে, দুর্গাপুর কাণ্ডে হঠাৎ অবস্থান বদল নির্যাতিতার বাবার৷ ঘটনার পর থেকে এতদিন পর্যন্ত রাজ্য সরকার, রাজ্য পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার সমালোচনা করলেও বুধবার আচমকাই তাঁর মুখে অন্য কথা৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য তাঁর উপরেই ভরসা রাখার কথা জানালেন তিনি৷ আস্থা রাখছেন পুলিশের তদন্তেও৷ যদিও কেন তাঁর এই অবস্থান বদল, তা স্পষ্ট করেননি নির্যাতিতার বাবা৷