কাস্টমাইজ পেপার ওয়েট বানিয়ে একদিকে যেমন স্বনির্ভর হচ্ছেন এক কলেজ ছাত্রী, তেমনই মার্জিত এবং ক্রিয়েটিভ পেপার ওয়েটের চাহিদা বাড়ছে মানুষের মধ্যে। পুজোর মরশুমে দেবী দুর্গার মুখ এবং প্রতিকৃতি আঁকা পেপার ওয়েট কেনার আগ্রহ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর সামান্য পাথরের ওপর দেবী দুর্গার অবয়ব ফুটিয়ে তোলে একদিকে যেমন স্বনির্ভর হচ্ছে, তেমনই তার এই সৃজনশীল প্রতিভার প্রশংসা করেছেন সকলে। কয়েকদিন পরেই দুর্গাপুজো। পোশাক সহ বিভিন্ন জিনিসে দুর্গার মুখ কিংবা দুর্গার ছবি কাস্টমাইজ করেন অনেকে।
advertisement
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোয় নতুন চমক! মণ্ডপসজ্জা নয়, যক্ষ্মা রোগীদের মুখে হাসি ফোটাতে বাজেট কমাল ‘এই’ ক্লাব
অনেকেই আবার চান টেবিলে ব্যবহৃত পেপার ওয়েটেও থাকুক দেবী দুর্গার মুখ কিংবা ছবি। দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রী বাড়িতেই অবসর সময়ে বানাচ্ছেন দুর্গার মুখ ও প্রতিকৃতি কাস্টমাইজ করা পেপার ওয়েট। বিভিন্ন স্টোনের ওপর রং তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন বিভিন্ন ছবি। পুজোর আগে চাহিদা রয়েছে দেবী দুর্গার ছবি আঁকা এই পেপার ওয়েটগুলির।
আরও পড়ুন : জঙ্গলের প্রাচীন দুর্গাপুজো! আদিবাসীরা করেন দেবী দুর্গার আরাধনা, মন্ত্রোচ্চারণ হয় অলচিকিতে
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শম্পা সেনাপতি। বেলদা থানার অর্জুনির বাসিন্দা। ছোট থেকেই তার শখ ছবি আঁকা। তবে দু এক বছর ধরে প্রচলিত ছবি আঁকার পাশাপাশি তিনি তৈরি করছেন হাতের বিভিন্ন জিনিস। রাস্তার ধারে পড়ে থাকা স্টোনের ওপর ফুটিয়ে তুলছেন দেবী দুর্গার ছবি। অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি করছেন দেড়’শ থেকে প্রায় তিন’শ টাকা পর্যন্ত। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দুর্গার মুখ, প্রতিকৃতি কাস্টমাইজ করা পেপার ওয়েট তৈরি করছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুধু তাই নয়, চাহিদা মত বানিয়েও দিচ্ছেন তিনি। মূলত তার বিভিন্ন ধরনের শৈল্পিক কাজ, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে। পড়াশোনার অবসরে বাড়িতে তিনি করেন এই কাজ। একদিকে বিভিন্ন হাতের কাজ বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন এই কলেজ ছাত্রী। তেমনই তাঁর শিল্প নিপুণতা এবং ফেলে দেওয়া জিনিসকে এত সুন্দর করে রূপ দেওয়ার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।