সিউড়ি (Suri) থেকে একটু এগোতেই ১৯ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে বক্রেশ্বর। সেখানে রয়েছে উষ্ণপ্রসবণ ও শিবমন্দির বক্রেশ্বর ছাড়িয়ে আর একটু দুবরাজপুরের দিকে যেতেই পড়বে মামা-ভাগ্নে পাহাড় সেখানেও রয়েছে ছোটো ছোটো অনেক পাহাড় ও পাহাড়ের ওপরের মনোরম পরিবেশ। তারপর একটু রামপুরহাটের (Rampurhat) দিকে যেতেই পড়বে পীঠস্থান তারা মায়ের মন্দির তারাপীঠ (Tarapith)। তারপর যদি মহম্মদ বাজারের দিকে গিয়ে একটু গ্রামের রাস্তায় যাওয়া যায় তবে প্রথমেই পাব পলাশবাসিনির দুর্গা মন্দির। যে মন্দিরে পুজো হলেও মন্দিরে নেই কোনও ছাউনি।
advertisement
আরও পড়ুন: ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম 'দাওয়াইপানি', চায়ের কাপ হাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার ব্যালকনি
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন 'সুন্দরী' সাতকোশিয়া, রইল বেড়ানোর সমস্ত খুঁটিনাটি...
পলাশবাসিনি ছাড়িয়ে যদি আর একটু গ্রামের দিকে যাওয়া যায় তবে দেখা যাবে দ্বারবাসিনী মন্দির। যদিও এলাকার মানুষ বলে পালাশবাসীনি ও দ্বারবাসিনী নাকি দুই বোন। এই জায়গাগুলো পেরিয়ে যদি একটু ঝাড়খণ্ড বর্ডারের দিকে যায় তবে সেখানকার অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ যেন মুগ্ধ করবে। যদিও সেখানে রয়েছে ম্যাসঞ্জর ড্যাম্প, তা দেখতেই ভিড় জমায় পর্যটকের একাংশ। সেখান ছাড়িয়ে যদি আবার একটু রাজনগরের দিকে যায় তবে সেখানে দেখার সুযোগ হবে জলের মাঝে রাজবাড়ি।
আরও পড়ুন: পুজোয় একেবারে অন্যরকম বেড়ানোর প্ল্যান চান? ডেস্টিনেশন হোক 'মৌসুনি দ্বীপ'
সেখান থেকে এগিয়ে তাতশোলের দিকে যেতে পাব সিদ্ধেশ্বরী নদী। আবার যদি একটু ধার্মিকস্থানের দিকে যেতে মন চায় তবে যাওয়া যেতে পারে নলহাটির নলহাটেশ্বরী মন্দির। যেই মন্দিরের ভেতর রয়েছে বেশ রহস্য। তাই রহস্যপূর্ণ এই স্থান হতে পারে ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের জন্য দারুন পর্যটককেন্দ্র। এ ছাড়াও রয়েছে সাইথিয়ার নন্দেকেশ্বরীর মন্দির। যেখানে গেলে দেখতে পাব মন্দিরের সঙ্গে সুন্দর গাছের সারি।
সুপ্রতিম দাস