প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পাটের দড়ি। শিল্পীরা টানা ছ’মাস ধরে এই উপকরণ দিয়ে দুর্গা ও অন্যান্য মূর্তি গড়েছেন। পাশাপাশি মণ্ডপ জুড়ে বসানো হয়েছে নানান প্রজাতির সবুজ গাছ। মণ্ডপে প্রবেশ করলেই শোনা যাচ্ছে পাখির কলকাকলি, যা দর্শকদের সকলের মুগ্ধ করছে।
ক্লাবের অন্যতম উদ্যোক্তা পুলক মণ্ডল বলেন, “কলকাতার একেবারে কাছেই মহেশতলায় আমরা প্রকৃতির ছোঁয়া দিতে চাই। বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আর সেজন্য এবছর এই থিমের চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। যা সকলের নজর কেড়েছে।”
advertisement
এই অভিনব উদ্যোগ দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমছে সেখানে। পুজোতে ঘুরে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল-সহ একাধিক বিশিষ্ট অতিথিরা। তাঁদের উজ্বল উপস্থিতি বাড়িয়েছে উদ্যোক্তাদের উৎসাহ। ফলে ভিড় বেড়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
আরও পড়ুন : টাকার বন্যা! চাকরিতে উন্নতির জোয়ার! সৌভাগ্যের জ্যাকপট! আজ বিজয়া দশমীতে মালামাল হবে এই ৩ রাশি!
১৫ বছরে পদার্পণের বছরেই জগন্নাথপুর গান্ধি লাইব্রেরি ক্লাবের এই সবুজের থিম সাড়া ফেলেছে দর্শকদের মনে। বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি এক অভিনব শিল্পকর্মের সাক্ষী থেকেছেন হাজারো মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্লাবের এই উদ্যোগে খুবই খুশি। তাঁরা চাইছেন পরের বছর আরও নতুন কোনোও থিম নিয়ে আসুক এই ক্লাব।