ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ভেতরেই রাজ প্যালেস নামের অতিথিশালা রয়েছে। সেই অতিথিশালাতেই পাওয়া যাবে এই রাজকীয় থালির খাবার। যেখানে থাকছে লম্বা চালের সাদা ভাত , ঘি, বেগুন সহ ৩ রকমের ভাজা , লেবু , স্যালাড, শুক্ত , ডাল , একটি তরকারি , মাছ , দেশি মুরগির মাংস , পাঁপড়, দই , মিষ্টি । এই সমস্ত খাবারগুলি বড় কাঁসার থালায় পরিবেশনের করার পাশাপাশি জলও দেওয়া হয় কাঁসার গ্লাসে। আগেকার দিনে রাজা-মহারাজারা যে সমস্ত থালাবাসন ব্যবহার করত তারই ছোঁয়া রয়েছে এই রাজকীয় থালিতে।
advertisement
ঝাড়গ্রাম প্যালেসের ম্যানেজার রিমলি নন্দী বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “রাজকীয় থালির খুবই চাহিদা রয়েছে। যে সমস্ত পর্যটক ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসছেন এবং রাজবাড়ির অতিথিশালায় রাত্রি যাপন করছেন, তাঁরা কিন্তু দুপুরের মধ্যাহ্নভোজনে রাজকীয় থালি খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। এছাড়াও যাংরা একদিনের জন্য ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসছেন তাঁরাও এই রাজকীয় থালির খাবার খেয়ে যাচ্ছেন”।
ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের সদস্য বিক্রমাদিত্য মল্লদেব বলেন,”আগেকার দিনে রাজা-মহারাজারা কী ধরনের খাবার খেতেন এবং তা কীভাবে পরিবেশন করা হত, এই সমস্ত বিষয় পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার জন্যই ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির পক্ষ থেকে রাজকীয় থালি শুরু করা হয়েছিল।বর্তমানে পর্যটকদের কাছে এই থালির খুব চাহিদা রয়েছে”।
পুজোয় যারা ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসার কথা ভাবছেন তাদের অবশ্যই চলে আসতে হবে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। তাহলে পেয়ে যাবেন মধ্যাহ্নভোজনে এই রাজকীয় থালির খাবার। কেবলমাত্র রাজকীয় থালি নয়, তার পাশাপাশি রয়েছে বাঙালি থালি এবং জঙ্গলমহল থালির খাবারও।