শাড়ি, জামাকাপড়, শিশুদের পোশাক থেকে শুরু করে এক ছাদের নিচে প্রায় সবকিছুই এখানে পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে দাম অনেক কম, সেই সঙ্গেই ভালো করে দেখে পছন্দ করার সুবিধা থাকায় প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। বিক্রেতা কৌশিক মণ্ডল বলেন, ‘কিছুদিন আগে বাজারের অবস্থা ভাল ছিল না। তবে এখন বেশ ভালই ভিড় হচ্ছে এবং কেনাকাটাও চলছে। আমাদের এখানে অন্যান্য জায়গার থেকে রেট অনেক কম ও পরিষেবাও ভাল’।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পেটের দায়ে কাজে গিয়েছিলেন, ভিনরাজ্যে মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু! বিরাট অভিযোগ পরিবারের
কিছুদিন আগেও অবশ্য পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। টানা বৃষ্টিতে কেনাবেচা প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল। চিন্তায় ছিলেন স্থানীয় তাঁতিরা। কিন্তু গত রবিবার থেকেই চেনা ছন্দে ফিরেছে এই হাট। ক্রেতাদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।ক্রেতাদের কথায়, অনলাইনে যা দেখানো হয়, বাস্তবে অনেক সময় সেই মান পাওয়া যায় না। এর উপর রিটার্ন নিয়ে ঝামেলাও থাকে। কিন্তু এখানে পাঁচটা দোকান ঘুরে দেখে নিজের মতো করে জিনিস কেনা যায়। দামও অনেক কম। তাই হাটের উপরই ভরসা।
মিলনী মণ্ডল নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘আমি এর আগেও এখানে কেনাকাটা করতে এসেছি। পুজোর আগে আবারও এলাম। এখানে সত্যিই কম দামে ভাল জিনিস পাওয়া যায়’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হাটের মালিক সুবীর কর্মকার জানিয়েছেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বাইরের বিভিন্ন রাজ্য থেকেও ক্রেতারা এই হাটে আসেন। ইতিমধ্যেই পাইকার ও ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন। আশা করা যায়, পুজোর আগে প্রতিটি হাটেই ভালো কেনাবেচা হবে। উৎসবের মরশুম ঘিরে তাই ভিনরাজ্য থেকেও পূর্বস্থলীর এই তাঁত হাটে ক্রেতারা ছুটে আসছেন। এখানকার বৈচিত্র্যময় সংগ্রহ, সুলভ দাম ও বিশ্বাসযোগ্য মানই এই হাটকে আলাদা করে তুলেছে। তাই অনলাইন কিংবা শপিং মল নয়, আজও অনেকের পছন্দের জায়গা এই ঐতিহ্যবাহী হাট।