বাঁকুড়ার জঙ্গলে ঘেরা প্রত্যন্ত একটি গ্রাম পাঁচমুড়া। এই গ্রামকেই বলা হয় টেরাকোটার গ্রাম। এখানে তৈরি হয় মাটির বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র। সারা বছর এই গ্রামে টেরাকোটার কাজ চললেও শিল্পীরা দুর্গাপুজোর আশাতেই দিন গোনেন। এই পুজোতে সারা বছরের রোজগারের আশায় থাকেন শিল্পীরা! প্রত্যেক বছরের মত এই বছরও পুজোর বরাত পেয়েছেন শিল্পীরা। তবে প্রকৃতির কাছে থমকে যাচ্ছেন তাঁরা! জেলা জুড়ে ভারী বর্ষণের ফলে মাটির পুতুল, স্ট্যাচু, মডেল কীভাবে শুকনো হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পাট্টা জমি দখল করে বিক্রির চেষ্টা, গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করতেই দালালরা যা করল জানলে…
ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি আরামবাগ, বিষ্ণুপুর ও শ্রীরামপুরেও দুর্গাপুজোর মণ্ডপ নির্মাণের বরাত পেয়েছেন এখানকার শিল্পীরা। তাই এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। তাঁদের নিপুন সূক্ষ্ম হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে অসাধারণ সব মূর্তি। পরিবারের সবাই শিল্পীদের সঙ্গে এখন মূর্তি তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছেন। কিন্তু এই বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং একের পর এক নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে কিছুটা আশঙ্কায় ভুগছেন শিল্পীরা। পুজো যত এগিয়ে আসছে তত রোদের আশায় প্রতীক্ষা বাড়ছে শিল্পীদের।