বার্নপুর ইস্পাত কারখানার জন্য বিখ্যাত। তাই এখানে ব্রিটিশ শাসনকালের সময় থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গার লোকের সমাগম ঘটেছিল। কেউ এসেছিলেন বিহার থেকে, কেউ ঝাড়খণ্ড থেকে, আবার কেউ এসেছিলেন নেপাল থেকে। তবে তাঁরা এসেও তাদের পুরনো ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ভুলে যায়নি। তার দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন নেপাল থেকে আসা এক পরিবার। জানা যায়, ১৯২৫ সালে নেপাল থেকে বার্নপুর শহরে কর্মসূত্র এসে একটি দুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন থেকেই রীতি মেনে হয়ে আসছে দুর্গাপুজো। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত গোপাল দাহার বলেন ‘‘এই নেপালি মন্দির রয়েছে বার্নপুর AB টাইপ এলাকায়। পুজোর কয়েকটা দিন নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়। এখানে মন্দির স্থাপিত হয়েছিল তখন থেকেই ওই একই মূর্তিতেই পুজো হয়ে আসছে। মূর্তি বিসর্জন হয় না এখানে, ও কোনও নতুন করে প্রতিমা তৈরি করা হয় না। আমি এখানে প্রত্যেকদিনই পুজো করি পাশাপাশি দুর্গাপুজোতেও পুজো করি।”
advertisement
আরও পড়ুন : সাক্ষী বহতা আত্রেয়ী, বালুরঘাটে সাহাবাড়ির ঠাকুরদালানে ১৮৫ বছর ধরে পূজিতা দশভুজা
বার্নপুর ত্রিবেণী মোড়ে AB টাইপ এলাকায় রয়েছে প্রায় একশো বছরের পুরোনো নেপালিদের প্রতিষ্ঠিত দুর্গা মন্দির। আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে নেপাল থেকে এক ভদ্রলোক এসেছিলেন কর্মসূত্রে এই বার্নপুরে। তখন তিনি এই নেপালি দুর্গা মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নেপালিরা অন্যান্য জায়গায় চলে গেলেও এখনও কিছুজন রয়েছেন এবং তাঁরা প্রত্যেক বছর সাড়ম্বরে এখানে দুর্গাপুজো করেন। পাশাপাশি পুজোতে যোগদান করেন আরও অনেকে। তবে এখানে কোনও দেবীর মূর্তি নতুন করে তৈরি হয় না। এখানে একটি মূর্তিতে সারা বছর পুজো হয় পাশাপাশি দুর্গাপুজোর সময় পুজো হয়।
পুজো সংস্কৃত ভাষায় মন্ত্র উচ্চারণ হয় তবে নেপালিদের জন্য নেপালি ভাষায় অনুবাদ করেও দেওয়া হয়। পুজোর কয়েকটা দিন বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়। সব মিলিয়ে পুজোর চারটে দিন উৎসবে মেতে উঠেন সবাই।