অতীতে বাংলায় উল্লেখযোগ্য বস্ত্রশিল্প ছিল বালুচরী,তসর,মসলিন,তাঁত প্রভৃতি। তাঁত মূলত একটি কুটির শিল্প।নদিয়ার শান্তিপুর ও হুগলির ধনেখালি মূলত তাঁত শিল্পের পীঠস্থান বলে চিহ্নিত হলেও এর বাইরেও বিভিন্ন জায়গার মানুষের জীবন জীবিকা এই তাঁত শিল্পকে ঘিরে। আজও বীরভূমের এমন অনেক গ্রাম রয়েছে যেই গ্রামে সকাল থেকেই মাকুর সেই ঠকঠক শব্দ শোনা যায়।
advertisement
সেই গ্রামের নাম আবাডাঙা। বীরভূম জেলার লাভপুর থানার অন্তর্গত এই গ্রামে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ ঘরের মানুষের মূল জীবিকা এই তাঁত শিল্প। বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে চলে আসা এই শিল্পকেই এখনও তারা টিকিয়ে রেখেছেন মূলত পেটের দায়ে। অন্যদিকে নিত্যদিন আমরা বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জামাকাপড়ের অর্ডার দিয়ে থাকি। তবে আপনি কি জানেন অনলাইন এর মাধ্যমে যে জামাকাপড় অর্ডার দিচ্ছেন, সেগুলি তৈরি হচ্ছে এই বাংলায়? হয়তো অনেকেই জানেন না কোথায় তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন : সপ্তাশ্বচালিত রথে আসীন বিগ্রহ, ছোট্ট ছুটিতে দেখতে আসুন মুর্শিদাবাদের শতাব্দী প্রাচীন সূর্য মন্দির
মূলত বীরভূমের লাভপুর আবাডাঙা গ্রামের তাঁত শিল্পীরা নিজের হাতে অথবা মেশিনের দ্বারা দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করছেন এই সমস্ত জামাকাপড়। আবাডাঙা গ্রামের এক ব্যাবসায়ী জানান তাঁদের কাছেই তৈরি হচ্ছে পাঞ্জাবি,ধুতি, কুর্তি,গামছা,রুমাল থেকে শুরু করে দম্পতিদের জন্য এক ধরনের ডিজাইনের জামা কাপড়। আর সেই সমস্ত জামাকাপড় বেসরকারি অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে বাড়ি। তবে এবার আপনি যদি বিভিন্ন ডিজাইনে জামা কাপড় নিজে পছন্দ করে কিনতে চাইছেন তাহলে চলে আসুন বীরভূমের এই গ্রামে।