গত দুমাস আগে অনিমেষ বাবু আমেরিকাতে তার বাড়িতে দুর্গাপুজো করবেন এই মনস্থির করেন । সেইমত বন্ধু তাপস বাবুকে এই এলাকা থেকে একটি ঠাকুর পাঠানোর জন্য বলেন । আর তখনই তাপস বাবুর মাধ্যমে মাগনপুরের বছর ২৪ এর শিল্পী শঙ্কু দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন হওয়ার পরই, ঠাকুর তৈরি করতে শুরু করেন শঙ্কু। ইতিমধ্যেই শিল্পীর কাজ শেষ। এই প্রসঙ্গে শিল্পী শঙ্কু দেবনাথ জানিয়েছেন, “এই ঠাকুরটা বানাচ্ছি কাঠের উপর ফাইবার দিয়ে । এই ঠাকুরটা আমেরিকাতে যাবে । অর্ডারটা পেয়েছি আমারই পাড়ার এক দাদার কাছ থেকে । দু’মাস আগে আমাকে অর্ডারটি দেয় । সারাদিনে ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করেছি।”
advertisement
ছোটবেলা থেকেই মডেল তৈরির ওপর ঝোঁক ছিল শঙ্কুর। সেই মতন উচ্চমাধ্যমিক পড়া শেষ করার পরই কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত ঘূর্ণির শিল্পীদের থেকে ট্রেনিং নেয় সে। এর আগেও বিভিন্ন মনীষীদের মূর্তি বানিয়েছে শঙ্কু, আর এর পরই সুদুর আমিরিকা থেকে দুর্গা তৈরির বরাত পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত সে এবং তার পরিবারের লোকেরা। দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা পরিশ্রম করে মূর্তি তৈরির কাজ করেছে সে। এই কাজে তার সঙ্গ দিচ্ছে তার বাবা মদন দেবনাথ এবং একজন হেলপারও। এই প্রসঙ্গে শিল্পী শঙ্কু দেবনাথের বাবা জানিয়েছেন, “মোটামুটি বছর পাঁচ ধরে এই কাজ করছে । তার আগে কাজ শিখছিল। এই কাজ আমেরিকায় যাবে আমার খুব ভাল লাগছে , আনন্দ লাগছে। এটা একটা গর্ব। আমিও ওকে সহযোগিতা করছি।”
আরও পড়ুন: দাম্পত্য অশান্তি! বিয়ে আটকে আছে! আর্থিক কষ্ট! গণেশদেবের কৃপায় হবে ভাগ্য বদল! করুন এই কাজ!
শঙ্কুর হতে তৈরি কাঠ ফাইবারের দুর্গা প্রথমবারের জন্য আমেরিকা যাচ্ছে। শঙ্কুর কথায় দুর্গা প্রতিমার মাথায় যে চুল লাগানো হবে, সেটিও শ্যাম্পু দিয়ে ধোঁয়া পর্যন্ত যাবে। দু মাস ধরে দীর্ঘ পরিশ্রম করে যে প্রতিমা শঙ্কু তৈরি করেছে তাতে, আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে শঙ্কু দেবনাথ। স্বভাবতই প্রত্যন্ত গ্রামের যুবক শঙ্কুর দেবী প্রতিমা আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ায় খুশি তার পরিবারের লোকজন থেকে গ্রামের সকলেই।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী