স্থানীয় ভূদেব স্মৃতি বিদ্যালয়ের এখন বেশ কয়েকজন ছাত্রী কাঁধে তুলে নিয়েছে ঢাক। রেললাইন পার্শ্বস্থ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে, শিবপদ দাস এর কাছে এখন পড়াশোনার ফাঁকে নিয়ম করে চলছে ঢাকের বোল তোলার তালিম। স্কুল, টিউশন, পড়াশোনার ফাঁকেও সময় বার করে ছাত্রীরা হাজির হন এই ক্লাসে। পাশাপাশি এলাকার গৃহবধুরাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আজ হয়ে উঠেছেন পেশাদার ঢাকি। পুজোর আর বাকি মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন। তাই জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের বিভিন্ন ধরনের ঢাকের বোল ঝালিয়ে নেওয়ার কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন:
আর সেখানেই দেখা গেল গৃহবধূ মহিলাদের পাশাপাশি ছাত্রীদেরও ঢাক কাঁধে তুলে নানান তালে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে। ঢাক কাঁধে তুলে কয়েক বছর ধরে মহিলাদের এই লড়াই আজ বদলে দিয়েছে এলাকার পরিবেশও। সংসার সামলে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হাজির হন সকলে। পাশ দিয়ে যাওয়া লোকাল ট্রেনের হর্নকেও তখন হার মানায় ঢাকের বোলের আওয়াজ।
আর এই ঢাক বাজানোর মধ্যে দিয়েই স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন এই সকল গৃহবধূ মহিলা এমনকি ছাত্রীরাও। সারা বছরই কিছু না কিছু অনুষ্ঠানে ডাক আসে এই মহিলা ঢাকিদের। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে তালিম নেওয়া মহিলা ঢাকি রুমা দালাল বিশ্বাস সুদূর বিদেশের সুইৎজারল্যান্ডেও ঢাক বাজানোর জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন। রেললাইন পাশেরকলোনিতে বাস করেও, আজ সকলেই মাথা উঁচু করে গর্ব অনুভব করেন এই ঢাক শিল্পকে তুলে ধরার জন্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকেও মিলেছে সাহায্য। মছলন্দপুর রেললাইন পার্শ্বস্থ ঢাকিপাড়ায় গড়ে তুলেছেন নিজেদের সংগঠন। এবছর ভিন রাজ্যের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও এসেছে মহিলা ঢাকিদের ডাক। বিশ্ববাংলার অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন মছলন্দপুরের এই মহিলা ঢাকিরা। রেল বস্তির নাম বদলে মহিলাদের ঢাক কাঁধে এই সাফল্যকে আজ কুর্নিশ জানাচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষই।
Rudra Narayan Roy