জানা গিয়েছে, বর্ধমান পৌরসভা ও পৌর কর্মীদের সেভাবে কার্নিভালে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পৌরসভার তরফ থেকে বীরহাটায় মঞ্চ করা হয়েছিল। সেখানেও কার্নিভালের প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই খবর পেয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করে মঞ্চ ছাড়েন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। স্বল্পভাষী পৌরপতিকে ক্ষোভে ফুঁসতে দেখে অবাক হয়ে যান উপস্থিত জনতা। পৌরসভার চেয়ারম্যান মঞ্চ ছাড়লেও তাঁকে ফিরিয়ে আনতে সেভাবে কারও তৎপরতাও দেখা যায়নি।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পুজো কার্নিভালের আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন। বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বরে কার্নিভালের সূচনার পরই ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা। কার্নিভালে বিশেষ অতিথি হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছিল বলিউডের অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডেকে।একটা সময় কার্নিভালের থেকেও অভিনেতার গুরুত্ব বেশি হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন - ‘সিনেমায় যেমন হয়’- প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুটের রোমান্সের মধ্যেই হাজির ভিলেন, তারপর একেবারে...
জেলা প্রশাসনের তরফে এই কার্নিভাল আয়োজন করা হলেও বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে এই কার্নিভাল সফলভাবে পালিত হচ্ছে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বিধায়ক খোকন দাসের হাতে বিশাল আকারের পুষ্প স্তবক তুলে দেন। অন্যদিকে বর্ধমানের পৌরসভার পৌরপতিকে বক্তব্য রাখতে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। এরপরই বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে মঞ্চ ছাড়েন। যদিও তাঁকে শান্ত করার জন্য বিধায়ক খোকন দাসকে কোনওভাবেই তৎপর হতে দেখা যায়নি।
পুর প্রধানের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কার্নিভাল সফল করতে এবং বর্ধমান শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য যথেষ্ট অর্থ খরচ করেছে বর্ধমান পৌরসভা। অথচ সেই বিষয়টিকে সেভাবে সামনে আনা হচ্ছে না। এই সব কিছুর কান্ডারী হিসেবে বিধায়ক খোকন দাস কে তুলে ধরা হচ্ছে। তা নিয়েই পুর প্রধানের সঙ্গে বিধায়কের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কার্নিভালের মঞ্চে- এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও এ ব্যাপারে পুর প্রধান বা বিধায়ক প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Saradindu Ghosh