দুর্গাপুজোর আগে থেকেই গ্রামে শুরু হয়েছে সাজ তৈরির জোরকদম প্রস্তুতি। সকাল থেকে রাত অবধি বাড়ি বাড়ি শুধুই ব্যস্ততা। নিপুণ হাতে গড়ে ওঠে দেবী দুর্গার শোলার সাজ যেমন মুকুট, গয়না সহ বিভিন্ন শোভাসামগ্রী। এক কথায়, পুজোর রূপ-রস-গন্ধে প্রাণ জোগায় বনকাপাসির এই শিল্প।
আরও পড়ুন: ভুটান পাহাড়ে টানা বৃষ্টি, বাড়ছে তোর্ষার জল, গিলতে আসছে নদী পাড়ের মানুষদের, জয়গাঁতে ভয়াবহ দৃশ্য
advertisement
এখানকার সাজ শুধু রাজ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ভিন রাজ্যেও সমান জনপ্রিয়। দেশজুড়ে বনকাপাসির নাম ছড়িয়ে পড়েছে শোলার সাজের জন্য। একসময় এই শিল্পের হাল ধরেছিলেন মূলত গ্রামের পুরুষরা। তাঁরাই সংসারের হাল টেনে নিয়ে যেতেন শোলার সাজ তৈরি করে। কিন্তু সময় পাল্টেছে। আজ আর পিছিয়ে নেই মহিলারাও। পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গ্রাম্য মহিলারাও এখন ব্যস্ত শোলার সাজ তৈরিতে।
সূক্ষ্ম কাজে তাঁদের হাতের নিপুণতা যেন নতুন মাত্রা দিচ্ছে এই শিল্পকে। গ্রামের মহিলা শিল্পী শিখা মাঝি বলেন, অনেক বছর ধরেই এই কাজ করছি। পুজো এলে আমরাও চরম ব্যস্ত হয়ে পড়ি। পুজোর আগে কাজ করতেও ভাল লাগে। নিজেরা জামা কাপড় কিনব, ছেলে মেয়েদের কিনে দিতে পারব সেইজন্য আরও বেশি ভাললাগে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মহিলারাও এখন হাতে তুলে নিচ্ছেন শোলা। কেউ কাটছেন, কেউ সাজাচ্ছেন, কেউ আবার আঠা দিয়ে বসাচ্ছেন শোলার পাতলা টুকরো। সেই টুকরোগুলোই রূপ নিচ্ছে দেবীর সাজে। সংসারের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি যেন নিজেদের আর্থিক স্বাধীনতার পথও খুঁজে নিচ্ছেন তাঁরা। গ্রামের অনেকেই বলছেন, আগে মহিলারা সংসারের কাজেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু এখন তাঁরা হাত লাগাচ্ছেন শোলা শিল্পে। এতে যেমন পরিবারের আর্থিক সুরাহা হচ্ছে, তেমনই নিজেরাও পাচ্ছেন আত্মবিশ্বাস। তাঁদের এই পরিশ্রম শুধু দেবীর রূপকেই গড়ে তোলে না, গড়ে তোলে সমাজের এক নতুন চিত্র, যেখানে নারীও সমানতালে এগিয়ে এসে সংসারের হাল ধরছেন।





