সৌরিশের বাবা রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের কর্মী। মা শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় গৃহবধূ। তাঁরা খনি অঞ্চলের অণ্ডাল থানার উখড়া এলাকার বাসিন্দা। সৌরিশ স্থানীয় একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুনঃ সরকারি নির্দেশের পরেও মেলেনি বোনাস! পুজোর আগে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ
এই শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান স্মার্ট যুগে সৌরিশ তাঁর বয়সী আর পাঁচটি বাচ্চার থেকে অনেকটাই আলাদা। পড়াশোনায় মেধাবী, সেই সঙ্গেই আঁকাআঁকি সহ নানা হাতের কাজ করে সারাক্ষণ নিজেকে ব্যস্ত রাখতে ভালবাসে এই খুদে। এই সবকিছুর পাশাপাশি পুজো-অর্চনাতেও মগ্ন থাকে সপ্তম শ্রেণির এই পড়ুয়া।
advertisement
বাবা রঞ্জনবাবু জানান, সৌরিশ একদম ছোটবেলা থেকেই তাঁর ঠাকুমা, জেঠু সহ পরিবারের বরিষ্ঠদের কাছে দেবদেবীর নানা কাহিনী শুনে আসছে। দেবদেবীর পৌরাণিক গল্প ও কাহিনীতে প্রথম থেকেই তাঁর আসক্তি ছিল। সৌরিশের যখন ৮ বছর বয়স তখন থেকে সে মাটির দুর্গা প্রতিমা গড়ে। সেই বছর থেকেই পুজো শুরু করে। খুদের ঠাকুমা তাঁকে প্রতিমা গড়ার জন্য মাটি এনে দিতেন। শিশুমনে দেবদেবীর প্রতি এমন ভক্তি দেখে পরিবারের সকলে তাঁকে প্রথম থেকেই এই কর্মযজ্ঞে উৎসাহিত করেন।
সৌরিশের জেঠু চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সৌরিশ মাটির প্রতিমা গড়ে নিজেই পুজোর জোগাড় করে পুজো করে আসছে। গত বছর থেকে সে কাগজ কেটে রঙ-তুলির ছোঁয়ায় সপরিবারে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরি করছে। পাশাপাশি গত বছর থেকে সে সরস্বতী, বিশ্বকর্মা সহ কালীপুজো করাও শুরু করেছে। নিজে হাতে মূর্তি গড়ার পাশাপাশি বাড়ির ছাদে কাপড় ও প্লাইউড দিয়ে সুন্দর মণ্ডপ গড়ে তোলে সে। সহযোগিতায় থাকে পরিবারের লোকজন। ফুল, ফল সহ দশকর্মার সকল সামগ্রীর আয়োজন করা হয়। ফল প্রসাদ সহ ভোগও থাকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বছর সৌরিশের পুজো পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করছে। সে কাগজ দিয়ে এক ফুট উচ্চতার একটি প্রতিমা তৈরি করেছে। সেখানে দেবী দুর্গা সহ লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ সকলেই রয়েছে। সৌরিশের এই বিস্ময়কর প্রতিভায় স্বাভাবিকভাবেই সকলে গর্বিত।