লক্ষ লক্ষ সামুদ্রিক শামুক, ঝিনুক দিয়ে কারুকার্যে ভরে উঠছে সমগ্র মণ্ডপ। পুজোর বাজেট ৬০ লক্ষ টাকা। শিল্পাঞ্চলে বিগ বাজেটের একাধিক পুজোর মধ্যে অন্যতম অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের দুর্গাপুজো। পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুর তথা জেলা সহ আশপাশের জেলার মানুষ প্রতি বছর ‘অগ্রণী’র পুজোর নিত্যনতুন অবাক করা থিম দেখার অপেক্ষায় থাকেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ধানের জমিতে মাছ চাষ! কীভাবে করছেন? বিকল্প চাষে নতুন দিশা দেখাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের কৃষক
এই বছর তাঁদের পুজো ৫৮ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। দুর্গাপুরের মধ্যে এই প্রথমবার বিশাল আকারের মণ্ডপ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের ক্লাব সংলগ্ন বেনাচিতি হাই স্কুলের ময়দানে গড়ে উঠছে ওই মণ্ডপ। বাঁশ, কাঠের বাটাম, কাপড় সহ শামুক, ঝিনুক দিয়ে নকশার কাজ জোরকদমে চলছে।
উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ডের চাও ফ্রায় নদীর পাশে রয়েছে ওয়াট অরুণ মন্দির। বৌদ্ধ দেবতা অরুণের নামে এই মন্দির। থিমের পাশাপাশি দুর্গা প্রতিমাতেও থাকছে বিশেষ আকর্ষণ। মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই প্রায় ১৫ ফুটের দুর্গা প্রতিমা গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিমা গড়ছেন দুর্গাপুরের প্রখ্যাত শিল্পী অরুণ পাল।
পুজোর চারদিন মণ্ডপ থেকে ভোগ বিতরণ করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই পুজো উদ্বোধন করছেন। গত বছর পুজোর থিম ছিল রাজস্থানের হাওয়া মহল। বিগ বাজেটের পুজোর পাশাপাশি সারা বছর তাঁদের সমাজকল্যাণমূলক কার্যকলাপ প্রশংসনীয়। কমিটির সদস্যরা সারাবছর নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। দুঃস্থ পরিবারের কারও মৃত্যু হলে সৎকার্যে আর্থিক সহযোগিতা, দুঃস্থ পরিবারের মেয়ের বিয়েতে সহযোগিতা, অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছানো সহ একাধিক কার্যকলাপে প্রায় প্রতিদিনই তাঁরা নজির গড়ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতি বছর পুজোয় সেরার সেরা সম্মান পেয়ে থাকে দুর্গাপুরের এই পুজো কমিটি। তাঁদের এই বছরের থিমও দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। এই থিমের পুজোর পাশাপাশি দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের মহিষ্কাপুর এলাকায় রাজীব গান্ধি ময়দানের পাশে তাঁদের আরাধ্যা দেবী মহিষমর্দিনীর মন্দির আছে। সেখানেও পুজিত হন দেবী দুর্গা, যা অনেকেরই অজানা।