কুলো, ঝুড়ি এই নামগুলো বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েদের কাছে অপরিচিত বললে ভুল হবে না। গ্রাম বাংলার পাশাপাশি শহরেও আগে পাওয়া যেত এই কুলো, ঝুড়ি-সহ পুরনো সময়ের ঐতিহ্যের জিনিস। তবে এই শিল্প যেন ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার সেই সব পুরোনো সময়ের জিনিস যে গুলো অতীতে বাড়ির মহিলারা ব্যবহার করতেন সেই সব জিনিসই দেখা যাবে আসানসোলের এই পুজো মণ্ডপে।
advertisement
পুজো কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আশিস মুখার্জী বলেন, ‘পূর্বের যে জিনিসগুলো ব্যবহৃত হত, সেই সমস্ত জিনিসগুলো দিয়েই পুরো মণ্ডপটি সাজানো হচ্ছে। কুলো, ঝুড়ি, গামছা ইত্যাদি উপকরণ থাকছে। আমরা প্রত্যেক বছর কম বাজেটের মধ্যে নিত্য নতুন থিম করার চেষ্টা করি।
আরও পড়ুনঃ খনি অঞ্চলে গড়ে উঠছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির! মা দুর্গার আরাধনায় দুর্গাপুরে ‘বিরাট’ চমক
আসানসোল মহকুমার অন্তর্গত বার্নপুর রামবাঁধ ফ্রেন্ডস ক্লাবের পুজো এবার ৭২’তম বর্ষে পদার্পণ করল। প্রায় তিন লক্ষ টাকা বাজেটে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাংলার চালচিত্রের বিভিন্ন জিনিস। যে গুলো বিগত কয়েক বছর আগে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবহার করা হত ঝুড়ি, কুলো সেই গুলো দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সমগ্র পুজোর মণ্ডপ। পাশাপাশি লাইটের বিভিন্ন চমক থাকছে মণ্ডপের মধ্যে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তারা এই থিম ফুটিয়ে তুলে সমাজে বার্তা দিতে চাইছেন, প্লাস্টিক বর্জন করে পুরোনো সময়ের ঐতিয্যের জিনিসগুলো মানুষ যেন আবার ব্যবহার শুরু করে তাহলে বাংলার এই শিল্পী নতুন করে আশার আলো দেখতে পাবে। এখানে প্রতিমায় সাবেকিয়ানা ছোঁয়া থাকে পাশাপাশি পুজোয় চার দিন মা দুর্গাকে বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়। ও চারটে দিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।