জানা গিয়েছে, এক সময় এই অঞ্চলে দুর্গাপুজোর প্রচলন ছিল না। দেবী দুর্গা প্রতিমা দেখার জন্য গ্রামবাসীদের যেতে হতো দূরবর্তী গ্রামে। সেই সময় ঘোষ পরিবারের এক পূর্বপুরুষ কালীচরণ ঘোষ গ্রামের মানুষ ও পরিবারের সকলের কথা ভেবেই দুর্গাপুজো শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তার আগে থেকেই ঘোষ বাড়িতে কালীপুজো প্রচলিত ছিল, কিন্তু মাঝের কিছু সময় পুজো বন্ধ হয়ে গেলে নানা দুর্ঘটনা ও সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে পরিবার। অবশেষে পুজো পুনরায় শুরু করার পর সেই সমস্ত সমস্যার অবসান ঘটে।
advertisement
পরিবারের বিশ্বাস, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পুজোর আয়োজন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে ঘোষ পরিবারের অনেক সদস্য বিদেশে বা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকলেও দুর্গাপুজোর সময় সকলে ফিরে আসেন গ্রামে। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হলেও মায়ের আরাধনায় একত্রিত হন সকলে।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোয় কেন প্রয়োজন ১০৮ লাল পদ্ম? কখন নিবেদন করা হয় এই ফুল? জানুন জ্যোতিষ পরামর্শ
পুজোর দিন নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট মেনে মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজন হয় দেবীর পুজো। এখন সেই জৌলুস নেই ঠিকই, কিন্তু পরিবারের সদস্যরা দেশ-বিদেশে যে যেখানেই থাকুক, পুজোর চার দিন এক জায়গায় জড়ো হন। এক চালায় মা দুর্গার মূর্তি ৷ ডাকের সাজ দেখা যায় মা দুর্গাকে। গ্রামের মানুষ ও দূরদূরান্ত থেকে আগত ভক্তরা এই আয়োজনে শামিল হন। শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, ঘোষ বাড়ির দুর্গাপুজো এখন হয়ে উঠেছে মিলনমেলা ও আনন্দোৎসবের এক অনন্য কেন্দ্রবিন্দু।