রূপকধর্মী এক কুমোরপাড়া হিসেবে পুরো মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। চাকের উপর একতাল মাটি দিয়ে দুর্গার আদল গড়েছেন শিল্পীরা। তাতে যেন দেওয়ালি পুতুলের ছোঁয়া লেগেছে। লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ ও সিংহ সবারই পুতুলাকৃতি রূপে উপস্থিতি। কাঠ, বাঁশ, ইট, পাথর, লোহার সমন্বয়ে এই অভিনব শিল্পকর্ম গড়ে উঠছে। গত জুলাই মাসে থিমের খুঁটি পুঁতে কাজ শুরু হয়েছিল। তন্ময় বৈরাগীর তত্ত্বাবধানে গোটা মণ্ডপ নির্মাণ চলছে। অন্যদিকে নারায়ণ সূত্রধর দীপাবলির আদলে দুর্গামূর্তি তৈরি করছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৫৩ বছরে এই প্রথম! কাশীপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো বাতিল, রাজপরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া
পুজো সম্পাদক বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি জানান, “সভ্যতা একদিকে ভাঙছে, আবার একদিকে গড়ে উঠছে। এই সৃষ্টি-ধ্বংসের চক্রই আমাদের মূল থিম। মাটির সঙ্গে মিশে থাকা, খেটে খাওয়া মানুষ হাটে, মাঠে, নদীতে যারা প্রতিদিন পরিশ্রম করেন, সেই শ্রেণির মানুষের কর্মময় জীবনকেই আমরা মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলতে চাই। সমাজ তাঁদের কাঁধেই দাঁড়িয়ে, অথচ তাঁরা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের কথা মনে রাখতেই এই উদ্যোগ।”
পুজোর বাজেট প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। মণ্ডপের নকশা ও আলোকসজ্জায় থাকবে বর্ণময়তা। সেখানে প্রতিফলিত হবে চিন্ময়ী মায়ের কর্মময়ী রূপ। এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে এই মণ্ডপ দেখতে যাবেন?
দুবরাজপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে হেঁটে প্রায় ৭-৮ মিনিটে এই প্যান্ডেলে পৌঁছনো যায়। টোটোয় চাপলে ১০ টাকা ভাড়া। দুবরাজপুর বাসস্ট্যান্ড থেকেও টোটো ভাড়া ১০ টাকা। পাওয়ারহাউস মোড় থেকে টোটো ৩০ টাকা ও অটো ২০ টাকা। ব্যক্তিগত গাড়িতেও আসা সম্ভব। যদিও নির্দিষ্ট পার্কিং নেই, ক্লাব থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে গাড়ি রাখতে হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মাটির সৃষ্টি থেকে মাটিতে বিলীন, এই অন্তহীন জীবনচক্রের বার্তা নিয়েই দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত দুবরাজপুরের উত্তরাঞ্চল ক্লাবের এবারের দুর্গোৎসব। অভিনব এই থিম দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।





