এই কমিটির পুজোর থিম ‘সোনার বাংলা’। ১৩০ ফুট লম্বা ও ৭৫ ফুট উচ্চতায় মণ্ডপ গড়ে উঠছে। বাঁশ, বেত, কাঠের বাটাম, শুকনো আঁকাবাঁকা ডালপালা, হোগলা পাতা, পাট, কাপড় ও ডোকরার মূর্তি সহ ফাইবারের নানা মডেল দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। এক কথায়, বাংলার সমস্ত রকমের হস্ত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের নিদর্শন মিলবে ওই মণ্ডপে। প্যান্ডেলের নানা কারুকার্য ও শিল্পকলা অত্যাধুনিক আলোকসজ্জায় ফুটে উঠবে।
advertisement
প্রতিবছরের মতো এই বছরও পুজোকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক ও বিচিত্রানুষ্ঠান হবে। এবার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, শোভন গাঙ্গুলি, অন্বেষা পাত্র সহ বহু বিশিষ্ট শিল্পীরা আসবেন। এখানে পুজোর অনুষ্ঠানে প্রতিবছরই জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে আসা হয়। মণ্ডপ চত্বরের বিশাল ময়দানে বসে মেলা। প্রতিবছর তাঁদের আকর্ষণীয় থিম দর্শন করতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় হয়।
পুজো কমিটির চিফ পেট্রন কবি দত্ত ও সভাপতি রামকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় জানান, প্রতিবছর মণ্ডপ ও অভিনব দুর্গা প্রতিমা থেকে আলোকসজ্জা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সহ আশপাশের জেলার লক্ষাধিক মানুষ প্রতিবছর ভিড় করেন এখানে। মণ্ডপ চত্বরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে জমজমাট পুজোর আড্ডা বসে। গত বছর গুজরাটের নীলকণ্ঠ ধাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়েছিলেন। অসাধারণ ওই থিম সেরার সেরা হয়েছিল। বিশ্ব বাংলার পুরস্কারও পেয়েছে। নানা আকর্ষনীয় থিম গড়ে বহুবার সেরার শিরোপা পেয়েছে এই পুজো কমিটি। এছাড়া একবার কার্নিভালেও প্রথম স্থান দখল করেছিল তাঁরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চলতি বছর এবার তাঁদের পুজো ৩৮ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। পঞ্চমী থেকে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক ও বিচিত্রানুষ্ঠান রয়েছে। বিখ্যাত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যার তৈরি মণ্ডপ বেশ আকর্ষণীয় হবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা।