বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো মানেই প্রতিমা ও মণ্ডপে সৃজনশীলতার প্রতিযোগিতা। কলকাতার কুমোরটুলি যতই প্রতিমা নির্মাণের কেন্দ্রবিন্দু হোক না কেন, জেলার মৃৎশিল্পীরাও পিছিয়ে নেই। বহু শিল্পী, গ্রামেই নিজেদের কারখানায় প্রতিমা গড়ে তুলে তা পৌঁছে দেন মহানগরের নানা পুজো মণ্ডপে। শান্তিপুরের সৌরাজ বিশ্বাস তাঁদের মধ্যে অন্যতম। কয়েক বছর ধরেই তিনি কলকাতার বিভিন্ন বিখ্যাত বারোয়ারির জন্য প্রতিমা তৈরি করছেন। তবে নিজের কারখানাতেই গড়ে তোলেন দেবী মূর্তি। পরে পুজো কমিটির সদস্যরা এসে নিয়ে যান সেই সৃষ্টিকর্ম।
advertisement
আরও পড়ুন : দেখলে বিশ্বাস বিশ্বাস হবে না! এই দুর্গায় নেই খড়, মাটি, রং! বাহবা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরও
এবার মানিকতলা ১৪ পল্লী বারোয়ারির জন্যই দুর্গা প্রতিমা গড়েছেন সৌরাজবাবু। হলুদ আভায় সজ্জিত মা দুর্গা, সিংহাসনে আসীন। দুই পাশে অবস্থান নিয়েছেন গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী। মায়ের মুখাবয়ব থেকে সাজপোশাক, অলঙ্করণ – সবকিছুতেই ফুটে উঠেছে শান্তিপুরের শিল্পীদের শিল্পকলা। এদিন সকাল থেকেই পুজো কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। টানা বৃষ্টির মাঝে প্লাস্টিকে মোড়কে ঢেকে সড়ক পথে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন দেবী।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজো মিস হবে না! পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে হবে দেবী দর্শন, বোনাসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ
মানিকতলা ১৪ পল্লী পুজো কমিটির সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর আমরা সৌরাজদার কারখানা থেকে মূর্তি নিয়ে যাচ্ছি। এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে প্রথম তাঁর খোঁজ পাই। গত বছরই অর্ডার দিই এবং মূর্তি দেখে আমরা অভিভূত হই। তাই এ বছরও আবার শান্তিপুর থেকে মূর্তি আনা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও জানান, আবহাওয়ার কারণে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। তবে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেই প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শিল্পী সৌরাজ বিশ্বাসও বলেন, বৃষ্টি আমাদের অনেক সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। তবে সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারাটা এক বড় সাফল্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে শিল্পীরা প্রমাণ করলেন, তাঁদের একাগ্রতা আর নিষ্ঠার জোরেই কলকাতার পুজোমণ্ডপ রাঙিয়ে তুলতে চলেছে শান্তিপুরের মৃৎশিল্পের অনন্য সৃষ্টি।