পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের বাল্য গোবিন্দপুর গ্রামের শঙ্করী দাস বাড়িতেই দুর্গার প্রতিমা তৈরি করে সংসার চালান। তিনি শুরু করেন একেবারে ছোট পর্যায় থেকে, প্রায় পরিবারিক উদ্যোগ হিসেবে। তবে আজ তাঁর হাতে তৈরি প্রতিমার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, বেড়েছে বায়না। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবছর বায়না আসে তাঁর।
আরও পড়ুন : কংক্রিটের জঙ্গল ভেঙে ফিরছে গ্রামবাংলা! গরুর গাড়ির চাকা, খড়ের সাজ! দেখতে হলে আসতে হবে দুর্গাপুরে
advertisement
শঙ্করী দাস বলেন, “প্রতিটি প্রতিমা তৈরি করার সময় আমি মা দুর্গার উপস্থিতি অনুভব করি। শুধু সুন্দর প্রতিমা তৈরি করা নয়, তার প্রতিটি অভিব্যক্তি ও ভঙ্গি দর্শনার্থীদের হৃদয় স্পর্শ করে। এই কাজেই আমার আত্মিক আনন্দ। আমার পরিবারে রোজগারের মাধ্যম।” তার হাতে তৈরি প্রতিমার সুন্দরতা ও নকশার জটিলতা অনেকেই প্রশংসা করে।
আরও পড়ুন : ঘাড় উঁচিয়ে দেখতে হবে! ৩১ ফুটের বিশাল বিশ্বকর্মা! কোথায় হয়েছে ‘এত্তবড়’ আয়োজন?
বিভিন্ন মণ্ডপের আয়োজনকারীরা তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ রাখেন। বিশেষ অর্ডারের জন্যও তাঁকে বেছে নেন। এই প্রতিমার মাধ্যমে তিনি শুধু অর্থ উপার্জন করছেন না, বরং স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও অবদান রাখছেন। স্থানীয়রা বলছেন, “শঙ্করী দাসের প্রতিমা আমাদের পুজোর আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাঁর দক্ষতা ও নিষ্ঠা দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়।” প্রতিটি প্রতিমা শুধু শঙ্করী দাসের দক্ষতার প্রতিফলন নয়, এটি এক ধরনের জীবন্ত শিল্পকর্ম, যা সকলকে মুগ্ধ করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শঙ্করী দাসের সৃজনশীলতা আমাদের দেখায়, একজন সাধারণ নারীও কিভাবে নিজের দক্ষতা ও প্রতিভার মাধ্যমে পরিবার ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তাঁর তৈরি মা দুর্গার প্রতিমা শুধুই শিল্পকর্ম নয়, এটি আমাদের উৎসবের আনন্দের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত, যা ভবিষ্যতেও আমাদের মনে স্মৃতি হয়ে থাকবে।