১৯৯০ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামেশ্বর ভেঙ্কটরমনের হাত থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। জাতীয় পুরস্কার দু’বার এসেছে তাঁর ঝুলিতে, সঙ্গে রয়েছে শিল্পগুরু পুরস্কারও। শিল্পের জগতে আশীষ মালাকারের হাতের কাজের আলাদা কদর রয়েছে। সেই সুবাদেই এবছর তিনি উত্তরবঙ্গের একটি নামী ক্লাব থেকে লক্ষাধিক টাকার অর্ডার পেয়েছেন। সেইমত বর্তমানে কাজও চলছে জোরকদমে।
advertisement
শোলা শিল্পী আশীষ মালাকার বলেন, “এটা শুধু প্রতিমা নয়, একরকম চ্যালেঞ্জ। চাইছি উত্তরবঙ্গের মানুষ এই শোলার প্রতিমা দেখে যেন অবাক হন।”
প্রায় দু’মাস ধরে চলছে এই বিশাল প্রতিমা তৈরির কাজ। নিখুঁতভাবে শোলা কেটে ধীরে ধীরে গড়ে তুলছেন মা দুর্গা ও তাঁর পরিবারকে। শুধু প্রতিমাই নয়, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির ওই নির্দিষ্ট প্যান্ডেল সাজানো হবে পুরোপুরি শোলার কাজ দিয়ে। থাকবে নারায়ণের দশ রূপ, ঝাড়বাতি থেকে শুরু করে যাবতীয় শোভাসজ্জা। ফলে এবছরের জলপাইগুড়ির দুর্গাপুজো দর্শনার্থীদের জন্য এক অন্যরকম আকর্ষণ হতে চলেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যান্য বছর বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অর্ডার নিতেন আশীষ মালাকার। কিন্তু এবছর তিনি আর কোনও কাজ হাতে নেননি। শুধু এই একটাই প্রতিমা তৈরিতেই তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। তাঁর ছেলে অভিজিৎ মালাকারও সাহায্য করছেন এই কাজে। বাবা ছেলে মিলে দিন-রাত এক করে প্রতিমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ মালাকার বলেন, “এই শিল্প আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের গর্ব। আমরা চাইছি সবাই যেন এই কাজ দেখে আনন্দ পায়। আমাদেরও এই কাজ করে অনেকটাই আনন্দ হচ্ছে।”
মঙ্গলকোটের বনকাপাসি গ্রাম শোলাশিল্পের জন্য দেশজোড়া খ্যাত। প্রতিবছর এখানকার শিল্পীরা দেশের নানা প্রান্তে প্রতিমা বা মণ্ডপসজ্জার কাজে যান। তবে এবারের প্রতিমা তৈরির কাজকে তাঁরা আলাদা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য, উত্তরবঙ্গের মানুষ যেন এই শোলার প্রতিমা দেখে মুগ্ধ হন, গর্বিত হন বাংলার শিল্প ঐতিহ্য নিয়ে।