ঢাকিরা আগে বাঁশের কাঠি দিয়ে ঢাক বাজাতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদল এসেছে। এখন বাজারে প্লাস্টিকের কাঠির চল। ঢাকিদের মতে, এই প্লাস্টিক কাঠি দিয়ে বাজাতে অনেক বেশি সুবিধা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘক্ষণ বাজালেও হাতে কম চাপ পড়ছে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর ২ দিন আগেও মেলেনি বোনাস! কাজ বন্ধ রেখে অফিসের সামনে বিক্ষোভ
advertisement
বর্তমানে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর দাম। কুড়ি টাকার আশেপাশে এই প্লাস্টিক কাঠি পাওয়া যাচ্ছে। সহজলভ্য এবং সস্তা হওয়ায় ঢাকিদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্লাস্টিক কাঠি। সব মিলিয়ে, এই বছরের দুর্গাপূজায় ঢাকের কাঠিতেও এসেছে নতুনত্ব।
কয়েক দশক আগেও পুজোর আগে ঢাকিদের অন্যতম এক কাজ ছিল কাঠি জোগাড় করা। স্থানীয় বাঁশবনে পাওয়া বেত কেটে শুকিয়ে কাঠি বানানো হতো। এতে বেশ সময় লাগত। সেই সঙ্গেই দরকার হতো পারদর্শিতা, বিশেষ যত্ন। তাহলেই নাকি একটি কাঠি নিখুঁত বোল তোলার যোগ্য হয়ে উঠত। এর দাম অবশ্য ছিল নামমাত্র।
আজ অবশ্য সেই ছবি অতীত। গ্রামে বাঁশবন কমেছে, বেতের জোগান দুষ্প্রাপ্য। হাতে গোনা কয়েকজন কারিগর এখনও সেই কাঠি বানালেও, দাম হয়েছে ৫০-৭০ টাকা জোড়া। অনেক সময় পুজোর কয়েকদিনের বাজনাতেই কাঠি ভেঙে যায়। তাই বারবার কিনতে হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পরিস্থিতিতে ফাইবার ও প্লাস্টিকের কাঠিতে বাজার ছেয়ে গিয়েছে। মাত্র ১৫-২৫ টাকায় এগুলি পাওয়া যাচ্ছে, বেশ টেকসইও। একবার কিনলে গোটা মরশুম টিকে যায়। ফলে ঢাকিদের প্রজন্ম দ্রুত এই নতুন কাঠির দিকে ঝুঁকছে। ঢাকি সংগঠনগুলির সদস্যরা জানান, এখন প্রায় ৭০-৮০% ঢাকি প্লাস্টিক কাঠি ব্যবহার করেন।