দুর্গাপুজোর ৬-৮ মাস আগে থেকেই প্রতিমা তৈরিতে হাত লাগায় নমিতা। শৈশবে একটু একটু করে প্রতিমা তৈরিতে হাতেখড়ি, বাবা-কাকার কাছে। এরপর শ্বশুরবাড়িতে এসে কয়েক বছর পর নিজের হাতে প্রতিমা গড়ার শিল্পালয় তৈরি। প্রথম বছর ২০০০ সালে একসঙ্গে দশটি প্রতিমা তৈরির বরাত মেলে, তারপর প্রতি বছর দুর্গাপুজোয় প্রতিমা তৈরির বরাত পাওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত বছর ২১ টি প্রতিমা গড়েছেন। সেই সংখ্যা এ বার অনেকটা কম। এ বার বিশ্বকর্মা পুজোর কদিন পরই দুর্গাপুজো, যে কারণে বেশি বরাত নিতে পারেননি নমিতা। মাত্র ১৬ টি প্রতিমা গড়ার কাজ নিয়েছেন হাতে।
advertisement
আরও পড়ুন : ক্যানিংয়ের মৌখালি সেতুতে ভিড় জমেছে, বসেছে মেলা, মানুষের ভিড়ে জমজমাট পর্যটন
মা ও ছেলের সংসার। বরাত নেওয়া প্রতিমা গড়া এবং প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম কেনা বেশিরভাগ কাজ নিজের হাতেই করতে হয়। প্রতিমা গড়ার কাজের ফাঁকে সংসারের যাবতীয় কাজও করতে হয় নিজের হাতেই। যদিও বর্তমানে বেশ কয়েকজন সহযোগী কাজের লোক রয়েছেন তাঁর অধীনে। অন্যান্য শিল্পালয়ের মতোই, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে প্রতিমা গড়ার কাজ। যতই দুর্গাপুজো এগিয়ে আসে ততই ব্যস্ততা বাড়ে তাঁদের। দুর্গাপুজো ছাড়াও লক্ষ্মী সরস্বতী কালী পুজোয় প্রতিমা তৈরির বরাত আসে। হাওড়া নমিতার শিল্পালয় সারা বছর থাকে প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা। শিল্পী নমিতা সর জানান, আশৈশব তিনি প্রতিমা তৈরির কাজে যুক্ত। এই কাজ তিনি চালিয়ে যেতে চান, যতদিন সম্ভব হবে এভাবেই প্রতিমা গড়বেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।