পুজোর তহবিল থেকে যক্ষা রোগীদের পুষ্টিদায়ক খাবার দেওয়ার দায়ভার তুলে নিয়েছে এই পুজো কমিটি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকে দুঃস্থ পরিবারের যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের ২০২৫ সালের দুর্গাপুজো থেকে ২০২৬ সালের দুর্গাপুজো পর্যন্ত এক বছর কোলাঘাট সংকেত পুজো কমিটির উদ্যোগে ও ব্যায়ে প্রোটিনযুক্ত উপযোগী খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সরকারিভাবে যক্ষা রোগে চিকিৎসাধীন রোগীদের একমাসের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের জানুবসান গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন : জঙ্গলের প্রাচীন দুর্গাপুজো! আদিবাসীরা করেন দেবী দুর্গার আরাধনা, মন্ত্রোচ্চারণ হয় অলচিকিতে
এই মর্মে কোলাঘাটের ওই পুজো কমিটি সংকেত ক্লাবের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক চুক্তি বা মৌ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়। এই কর্মসূচি জাতীয় যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করণ “নিক্ষয় মিত্র” কর্মসূচির আওতাভুক্ত। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য অসীম দাস জানান, “প্রাথমিকভাবে দেড়শ থেকে দু’শোজন রোগীর হাতে প্রতি মাসে স্বাস্থ্য দফতর নির্ধারিত মান ও পরিমাণ মত খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হবে। প্যাকেটের মধ্যে থাকবে একমাসের পরিমাণ মত সরিষার তেল, মসুর ডাল, ছোলা, সোয়াবিন, রাজমা, সুজি, চিনি ইত্যাদি সামগ্রী।
আরও পড়ুন : দামি সাইকেল নেই, জেদ আর স্বপ্নই ভরসা! জাতীয় স্তরে সোনা জিতে বাজিমাত কালচিনির যুবকের
তিনি আরও বলেন, আমরা সারা বছর আর্তদের জন্য বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়িত করে চলেছি, তারই অঙ্গস্বরূপ এই প্রয়াস। ভবিষ্যতে আরও বেশি রোগীদের জন্য এই ব্যবস্থা করা যায়, সেই চেষ্টা করব। ৫৩ তম আগমনী উৎসব নিবেদন করা হয়েছে, আর্ত মুমুর্ষ দরিদ্র মানুষের সেবায় এবং বহুমুখী সামাজিক উন্নয়ন ও সমাজ সচেতনার উদ্দেশ্যে।” উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো কোলাঘাটের সংকেত ও ছাত্রদলের দুর্গাপুজো।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই কমিটির পুজোতে প্রতিবছর নানান ধরনের চমক থাকে। কোনও বার ঢাকিদের দিয়ে পুজোর উদ্বোধন, আবার কোনও বার পুজোয় নানান সচেতনতা বা সমাজ সংস্কার মূলক প্রচারের কাজ করেন তারা। ২০২৫ সালের দুর্গাপুজোয় তাদের লক্ষ্য জেলা জুড়ে যক্ষা নির্মূল করা। তাদের এই ভাবনায় সাহস যোগিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। শারদ উৎসবের অঙ্গস্বরূপ শুরু হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকে যক্ষ্মা রোগীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।