ডিজিটাল দুনিয়াতেও লোকায়ত চিত্রকলা ও ভাস্কর্যের মিশ্রণে সেজে উঠছে জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামের গিধনী স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো মণ্ডপ। গিধনী স্পোর্টিং এর দুর্গাপুজো এবার ৮১ বছরে পা দিল। প্রতি বছরই নতুন নতুন থিমের মণ্ডপ তৈরি করে চমক দেয় এই পুজো কমিটি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গিধনী বিডিও অফিসের পাশে সুউচ্চ মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। থিমে থাকছে দেশ ও রাজ্যের নানান স্থানের ভাষা, পোশাক, এবং সংস্কৃতির বৈচিত্র্য। থিমের নাম দেওয়া হয়েছে থাকব নাকো বদ্ধ করে, দেখব এবার জগৎটাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : পুজো তো নয়, যেন ভোজবাড়ি! গ্রামবাসীদের জন্য থাকে ৫২ ভোগ, এখানে যজ্ঞ না দেখলে বড় মিস
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বাঁশ, ফোম, কাঠের বাটাম, দড়ি, কাপড়ের পাশাপাশি থার্মোকল, সিমেন্ট, ফাইবার ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার ১৬ লক্ষ টাকা বাজেট রয়েছে। প্রতি বছরই নতুন থিমের মণ্ডপ বানিয়ে দর্শকদের মন জয়ের চেষ্টায় মশগুল থাকেন জঙ্গলমহলের কারুশিল্পী বুদ্ধেশ্বর আহির। নেট দুনিয়ার মাঝেও পৌরাণিক সভ্যতা, লোকায়ত চিত্রকল্প, পাহাড়ি সৌন্দর্যের ছবি একত্রে ফুটে উঠবে গিধনী স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো মণ্ডপে।
আরও পড়ুন : হৃতিক রোশনের ঘরে বাজত এই বাদ্যযন্ত্র, রবি ঠাকুরও ছিলেন ভক্ত! দুর্গাপুরে আজও শোনা যায় সেই সুর
মণ্ডপ শিল্পী বুদ্ধেশ্বর আহির বলেন, ‘পুজোকে কেন্দ্র করে বাঙালির ভাবাবেগ একটু অন্যরকম। তাই থিমের সময় মাথায় রাখি কীভাবে পুজোর আবহের মাঝে যেন চিরন্তন শিল্পকলা ফুটে ওঠে। সেই লক্ষ্যেই আমি মণ্ডপের কারুকার্য করি। যাতে দেবীর গরিমা অটুট থাকার পাশাপাশি লোকায়ত শিল্পকলাও প্রদর্শিত হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পুজো কমিটির ভাবনা, ইউনেস্কোর হেরিটেজ পাওয়া দুর্গাপুজো। গোটা বিশ্বের বৈচিত্রের ছোঁয়া থাকবে তাদের এই পুজো মন্ডপে, এমনটাই জানানো হয়েছে। রাতদিন প্রায় ১৫ জন সহ-শিল্পীদের নিয়ে টানা কাজ করে চলেছেন জঙ্গলমহলের এই শিল্পী। অভিনব থিমের মণ্ডপ দর্শকদের নজর কাড়বে বলেই আশাবাদী উদ্যোক্তারা।