শহর জুড়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। আজ দশমী। পুজো শেষ। আবার বছরভরের অপেক্ষা। বিদায়বেলায় একবার শেষবারের মতো মাকে দেখা, প্রার্থনা। শেষলগ্নে প্রাণের পুজো। দশমীতেও তাই মুখ ভার নয়। বরং উৎসবেই মেতে মহানগর। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাতভর ঠাকুরদেখা। বনেদি থেকে বারোয়ারি। দেবীবরণ-সিঁদুরখেলা-ধুনচিনাচে বিদায়ের পালা। তিথি ফুরালে প্রণাম-কোলাকুলি-মিষ্টিমুখে বিজয়া। বছরভরের অপেক্ষার আগে লাস্ট মিনিটের হুল্লোড়।
advertisement
প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দর করে এবছরও গঙ্গার ঘাটগুলিতে নিরাপত্তায় বাড়তি নজর রাজ্যের। ঘাটগুলিতে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাগবাজার, বাজে কদমতলা, গোয়ালিয়র ও নিমতলা ঘাটে মোতায়েন রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটে তৈরি হয়েছে নজর মিনার (ওয়াচ টাওয়ার), যেখান থেকে চলবে টানা নজরদারি। প্রতিটি ঘাটে এক একটি পুলিশ দল মোতায়েন থাকবে, নেতৃত্ব দেবেন ডিসি, এসি এবং ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকেরা।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পুরসভা সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলও প্রস্তুত রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও যাতে প্রতিমা বিসর্জনে অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে আমাদের বিশেষ নজর আছে।’’