অর্ডার অনুযায়ী ঠাকুরের সবেমাত্র মাটি লাগানো চলছিল। তারই মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিগত এই চার দিন ধরে প্রথমের অর্ডার অনুযায়ী শুকনো মূর্তির প্রাথমিক রং শেষ করার পর মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের। তার উপরে কাঁচামালের দাম আকাশ ছোঁয়া। প্রতিমা কিনতে পকেটের টান পূজা কমিটির সদস্যদের। ছাউনি যুক্ত কারখানায় ভিড়ে গাদাগাদি করে রয়েছে সমস্ত প্রতিমা। বাইরে রৌদ্রে শোকানোর জন্য থরে থরে সাজানো প্রতিমা কোনওরকমে প্লাস্টিক চাপা দিয়ে রয়েছে পথের পাশে।
advertisement
আরও পড়ুন : ৩৬ রকম ধোসা, ছ’রকমের বড়া, সাত রকম ইডলি! দক্ষিণী খাবারের স্বর্গ ‘এই’ রেস্তোরাঁ
এভাবে চলতে থাকলে সে প্রতিমাগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে নতুন কাজে হাত দেওয়া যাচ্ছে না আবহাওয়ার কারণে। এই আবহাওয়ায় মাটি শুকনো হতে লেগে যায় অনেক সময়। তাই বাধ্য হয়েই মৃৎশিল্পীরা ব্লো বার্নার লাইট ব্যবহার করে শুকনো করার চেষ্টা করছেন প্রতিমা। কিন্তু গ্যাসের যা দাম, তাতে এক একটি ঠাকুর শোকাতেই লেগে যায় একটা পুরো সিলিন্ডার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অর্থাৎ বাড়তি প্রায় হাজার হাজার টাকা খরচা। এভাবে আগুন দেওয়ায় কিছুটা দৃষ্টিকটু লাগলেও মৃৎশিল্পীরা জানাচ্ছেন, প্রতিমার চক্ষু দানের আগে তা নিছকই মূর্তি মাত্র। প্রাণ প্রতিষ্ঠা পায় চক্ষু দেওয়ার পরে। তাই এই কাজটা একদম শেষে করা হয়। তার থেকেও বড় কথা এ বিপদের সময়, তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করতে না পারলে, অর্ডার অনুযায়ী প্রতিমা দেওয়া সম্ভব হবে না। এখন তারা আকাশের দিকে চেয়ে রয়েছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য।