মহিলাদের উদ্যোগে এবার দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে দেখা মিলবে রাজস্থানের জয়সলমেরের অমর সাগর জৈন মন্দিরের। ওই ঐতিহাসিক মন্দির তথা তীর্থস্থান দর্শনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় হবে বলে আশাবাদী দশভূজা মহিলারা। তাঁদের পুজো চলতি বছরে পঞ্চম’তম বর্ষে পদার্পণ করছে। প্রথম বছর থেকেই দুর্গাপুরের বিগ বাজেটের পুজো গুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পা মিলিয়েছে মহিলা পরিচালিত ওই পুজো কমিটি। দুর্গা প্রতিমা ও মণ্ডপ সজ্জা-সহ আলোকসজ্জায় প্রতিবছর দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে প্রভাত সংঘ সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। ওই আকর্ষণীয় মণ্ডপের নিখুঁত কারুকার্য ফুটিয়ে তুলছেন মেদিনীপুরের শিল্পীরা।
advertisement
পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রভাত সংঘ সর্বজনীন দুর্গাপুজো দুর্গাপুরের একমাত্র মহিলা পরিচালিত বিগ বাজেটের পুজো। প্রথম বর্ষে এলাকার কিছু মহিলা ও ক্লাবের সদস্যরা মিলে থিমের পুজো শুরু করেন কোনও রকমে। দ্বিতীয় বছর থেকে থিমের পুজো করে তাক লাগিয়ে দেন দর্শনার্থীদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেই বছর থিম ছিল ‘কেদারনাথের মন্দির’। ওই মণ্ডপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় দর্শনার্থীর নজর কেড়েছিল পুজো কমিটি। তার পরের বছর ৭০ ফুটের শিব মূর্তির পাশাপাশি লাইট – শোয়ের মণ্ডপও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। চতুর্থ বর্ষেও থাইল্যান্ডের ‘ওয়াট থা টন” বিপাসনা ধ্যান কেন্দ্র দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ কেড়েছিল। প্রতিবছর তাঁদের থিম অন্যান্য বিগ বাজেটে পুজোর থিমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আসছে। এই বছরও তাঁদের থিম দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যেক্তারা।
পুজো কমিটির সম্পাদিকা সিঞ্জিনী সান্যাল বলেন, গত বারের মত এবারও আমাদের মণ্ডপের উচ্চতা প্রায় ৮০ ফুট হচ্ছে। বাজেট রয়েছে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। দুর্গাপুরের ডেকোরেটর ও মেদিনীপুরের শিল্পী মণ্ডপ গড়ছেন। প্রতিমা গড়ছেন দুর্গাপুরের মৃৎশিল্পী সুবল পাল। প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট।এছাড়াও আধুনিক আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে মণ্ডপ। আমাদের পুজো কমিটিতে প্রায় ১৫০ জন মহিলা সদস্যা রয়েছেন। তাঁরাই বাড়ি বাড়ি চাঁদা তোলা থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সব কাজেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। পুজোয় এলাকার দুঃস্থ মহিলাদের শাড়ি বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সারা বছর নানান সামাজিক কাজের সাথে আমরা লিপ্ত থাকি। এবারের থিম রাজস্থানের জয়সলমেরে অবস্থিত অমর সাগর জৈন মন্দিরটির অনুকরণে প্যান্ডেল হচ্ছে।