প্রসঙ্গত, ১৩ দিন আগে, জিতা অষ্টমীর পরের দিন একইভাবে বড় ঠাকুরানী মহাকালী প্রবেশ করেছিলেন বিষ্ণুপুরের রাজবাড়ি সংলগ্ন মৃন্ময়ী মন্দিরের গর্ভগৃহে। এদিন মহাসপ্তমীতে রাজপরিবারের নিয়ম মেনে সম্পন্ন হল মেজ ও ছোট ঠাকুরানীর প্রবেশ পর্ব।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০২৯ বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলা মল্লরাজাদের এই পুজো। যেখানে আজও সেই পুরনো নিয়মে পালন করা হয়। নারায়ণী পুঁথি অনুযায়ী এই পুজোয় রয়েছে একাধিক নিয়ম। এখানে শব্দকে ‘ব্রহ্ম’ জ্ঞান করে পুজোর প্রতিক্ষণে কামান দাগা হয়। আজও সেই রীতি মেনেই তিন দফা কামান দাগার পর গর্ভগৃহে প্রবেশ করানো হল দেবী মহালক্ষ্মী ও মহাসরস্বতীকে।
পুজোকে কেন্দ্র করে এদিন ভিড় জমে যায় মৃন্ময়ী মন্দির চত্বরে। রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী পুজোর এবং তার বিশেষ নিয়মকানুন দেখতে ভিড় ছিল পর্যটকদেরও। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর ধর্মীয় আবহ মিলিয়ে বিষ্ণুপুরে মহাসপ্তমীর সকাল কাটল একেবারে ভিন্ন আবহে।