কথিত আছে, রামচন্দ্র লঙ্কাযাত্রার পূর্বে রাবণ বধের উদ্দেশ্যে যে ষোড়শ দিনব্যাপী দেবীর আরাধনা করেছিলেন, সেই রীতি মেনেই কাশীপুরের দেবীবাড়িতে ১৬ দিন ধরে চলে দুর্গাপুজো। এই কারণে এই পুজো ‘ষোড়শ কল্পের পুজো’ নামেও পরিচিত। ষোড়শ দিন ধরে ষোড়শ রূপে দেবী রাজরাজেশ্বরীকে আরাধনা করা হয় এই পুজোয়।
advertisement
যুগের পরিবর্তনে উৎসবের জাঁকজমক কিছুটা ম্লান হলেও, রাজবাড়ির সাবেকিয়ানা ও ঐতিহ্যের দীপ্তি আজও অটুট। রাজপরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এদিন অনুষ্ঠিত হল দেবীর ‘বোধন’। অষ্টধাতুর মূর্তির সামনে ঘট স্থাপন করে, মন্ত্রোচ্চারণ ও প্রাচীন আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবীকে আহ্বান জানানো হল।
আরও পড়ুন– র্যাম্প ওয়াকেও মাতিয়ে দিলেন সৌরভ ! পুজোর আগেই নতুন চমক মহারাজের
এই পুজো শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এই পুজো একটি ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সাক্ষাৎ মেলবন্ধন। কালের প্রবাহে বহু কিছু বদলালেও, পঞ্চকোট রাজবংশের এই দুর্গাপুজো আজও তার রাজকীয় গাম্ভীর্য ও শ্রদ্ধা নিয়ে পালন হয়ে চলেছে।
রাজ পরিবারের সদস্য ভগবতী প্রসাদ সিং দেও বলেন, ‘‘প্রায় দুই হাজার বছরের প্রাচীন পঞ্চকোট রাজবংশের দুর্গাপুজো আজ আর আগের মত জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও এখনও বজায় রেখেছে তার রাজকীয় গাম্ভীর্য ও গৌরবময় ঐতিহ্য।’’