বারুইপুরে স্থানীয়দের ভিড় যেমন ছিল, তেমনই গ্রামীণ এলাকার মানুষও এদিন শহরে ভিড় জমিয়েছিলেন। মণ্ডপে ঘোরার পাশাপাশি শেষবেলার কেনাকাটার ভিড়ও দেখা গিয়েছে। ভালই ব্যবসা করেছেন পুজোর মরশুমে রাস্তার ধারে হরেক খাবারের দোকান সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ীরা। বড় পুজোর আয়োজকদের পাশাপাশি, ছোটো পুজো মণ্ডপেও বিপুল জনস্রোত দেখা গিয়েছে।
advertisement
প্রত্যেক বছরের মতো এবারও চমক দিয়েছে বারুইপুর শাসন বালক সংঘ। এই বছর তাঁদের থিম ‘মানতপুরী’। মণ্ডপ শিল্পী রাজকুমার গিরি বলেন, একটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ নির্মাণ হচ্ছে। দেবতাদের উদ্দেশ্য যে যে জিনিসে মানত করা হয় সেটাই মণ্ডপে তুলে ধরা হচ্ছে।
প্যান্ডেলের প্রবেশপথে শিবলিঙ্গ, শিবের বসে থাকা মূর্তি থাকবে। প্রণাম করে ঢুকবেন মানুষজন। ভিতরে বাজবে একাধিক ঘণ্টা। মূলত মানত করতে গেলে সুতো, ইঁট ঝোলানো হয় সেটাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া থাকবে ত্রিশূল। দর্শনার্থীরা ভিতরে ঢুকে এক স্বর্গীয় পরিবেশের অনুভূতি পাবেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এবার পুজোয় আবার বৃষ্টি নিয়ে একটু হলেও আশঙ্কা করেছিল পূজা কমিটিগুলি। তবে পঞ্চমী থেকে সপ্তমী সকাল দেখা গিয়েছে বৃষ্টি-রোদের খেলা। অষ্টমীতে রোদের আলো ফুটে উঠেছে। সন্ধ্যা হতেই বারুইপুরের পুজো মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ঢল নামছে। কুলপি রোড, কল্যাণপুর রোড, ক্যানিং রোডে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বারুইপুরের ফুলতলা থেকে শাসন, বারুইপুরের প্রগতি সংঘ, বিশালক্ষ্মীতলা, সাহাপাড়া, শাসন বালক সংঘ, পদ্মপুকুরে উপচে পড়ছে ভিড়।