পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম। চারদিক জঙ্গলে ঘেরা। জঙ্গলের বুক চিরে চলে গিয়েছে কালো পিচের রাস্তা। রাস্তার দুপাশে বড় বড় গাছ , আর বিভিন্ন পশুপাখির ডাক। বেশ কয়েক কিলোমিটার এই জঙ্গলাকীর্ণ মনোরম পরিবেশ অতিক্রম করলেই পৌঁছে যাবেন কালিকাপুর জমিদারবাড়িতে। মন শান্ত করা পরিবেশে অনেকটা জার্নির পর আপনাকে ক্রমশ জড়িয়ে ধরবে অপার ভাল লাগা। এখানের একচালার সাবেকি প্রতিমার সামনে প্রাণঢেলে অঞ্জলি আপনি দিতেই পারেন।
advertisement
৪০০ বছর আগে কালিকাপুরে রায় পরিবারে প্রথম এই পুজো কে কবে শুরু করেছিলেন সেটা জানা যায়নি। তবে পুজো আগের মতোই এখনও চলে আসছে একই ধারায়। বর্তমান রায় পরিবারের সদস্যরা পুজোতে সবাই একসঙ্গে একত্রিত হন এখানে। এই কালিকাপুর জমিদার বাড়িতে কৃষ্ণা নবমীর দিন থেকে পুজো শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোয় প্রতিমার চুল কোথা থেকে আসে জানেন? এই গ্রামে লুকিয়ে রহস্য
দুর্গা দালানকে ঘিরে থাকা সাত মহলা জমিদার বাড়ির সর্বত্র সময়ের ছাপ স্পষ্ট। খসে পড়া ইট কাঠ জানান দেয় এর প্রাচীনত্বের। অতীতের সেই জমিদারি আজ না থাকলেও যথা সম্ভব সেকালের রীতি অনুযায়ী হয়ে আসছে দেবী দুর্গার আরাধনা। আর তাই বনেদি বাড়ির এই পুজোর স্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই জঙ্গলের পথ পেরিয়ে ছুটে আসেন সাত মহলা এই জমিদার বাড়ির ঠাকুর দালানে।
ঠাকুর দালানের বাইরেই রয়েছে সুদৃশ্য দুটি শিব মন্দির। এই মন্দির দুটির গায়ের শিল্প আপনাকে মুগ্ধ করবে। ঘুরে আসতে পারেন পাশের মৌখিড়া জমিদারবাড়িতে। কলকাতা থেকে উনিশ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মানকর হয়ে আসতে পারেন কালিকাপুর জমিদারবাড়িতে। ট্রেনে মানকর স্টেশনে নেমেও চারচাকা বা টোটোতে এই জমিদার বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া যায়।