কথিত আছে, তৎকালীন রানি রান্নার চাল ধোয়ার জন্য পুকুরে গিয়েছিলেন। সেই সময় জল থেকে ভেসে কুলোয় উঠে আসেন মা সর্বমঙ্গলা। রানি সেই মূর্তি নিয়ে এসে ঠাকুর ঘরে রেখেছিলেন। তারপরেই রাজার কাছে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্নাদেশ আসে।
advertisement
শুধু তাই নয়, বেশ কিছু শর্তও ছিল মায়ের। যেমন, মা দুই সখীকে নিয়ে এখানে এসেছিলেন। কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী- কেউ সঙ্গে ছিল না। মায়ের আদেশ ছিল, মন্দিরে তাঁর নিত্যপুজো হলেও দুর্গাপুজোর দিন বিশেষ পুজো হবে। সেই দিনগুলি অন্যত্র নিয়ে গিয়ে দেবীকে পুজো দিতে হবে। সেইমতো সমস্ত প্রথা মেনে মায়ের মন্দিরে নিত্যপুজো হয়। তবে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিন মা-কে দুর্গা মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। ওই চারদিন দুর্গা মন্দিরেই পূজিতা হন মা। দশমীর দিন সর্বমঙ্গলা মা তাঁর মন্দিরে ফিরে যান, পুকুরে ঘট বিসর্জন করা হয়।
ঝাড়গ্রামের লালগড়ের এই ঐতিহ্যবাহী পুজোয় মায়ের সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী থাকে না। কথিত আছে, দুই সখী জয়া ও বিজয়াকে নিয়েই বিরাজমান সর্বমঙ্গলা মা। দুর্গাপুজোর কয়েকদিন মা-কে অন্নভোগ দেওয়া হয়। এছাড়া বলি প্রথাও রয়েছে। তবে এখানে কুমড়ো, শসা ও ঝিঙে বলি হয়। দুর্গাপুজোর সময় মায়ের আশীর্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এখানে ছুটে আসেন।