টোটো নিয়ে সকাল হলেই বেরিয়ে পড়েন রঞ্জু। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেড়ে লেগে পড়েন প্রতিমা গড়তে। তবে তার চলার পথের জীবন খুব একটা সহজ ছিল না। এক দাদা ও মা-বাবাকে নিয়েই তাদের ছোট্ট সংসার। মা কবিতা গৃহবধূ , বাবা সুধীর ট্রেনে হকারি করে যা উপার্জন করেন তাই দিয়ে সংসার চালিয়ে দুই ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়েছেন। তবে দশম শ্রেণীতে পড়ার পর আর এগোতে পারেনি রঞ্জু। তারপর লেগে পড়েন মূর্তি করার কাজে। বাড়ির অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। মাটির দেওয়ালে টালির চালের ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করে সূর্যের আলো। তবু দুচোখে স্বপ্ন দেখে শিল্পী হবার। শিল্পী হয় সে তবে পেট চালাতে টোটো চালাতে হয়।
advertisement
রঞ্জুর মা কবিতা বলেন,”ছেলে ছোটবেলা থেকেই ঠাকুর তৈরি করতে ভালোবাসতো। শরীর খারাপের জন্য দশম শ্রেণী পড়ার পর আর পড়তে পারেনি। কোনরকমে ধার-দেনা করে ছোট ছেলেকে টোটো দিয়েছি । প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি এখন টোটো চালায়। বড় ছেলে অন্য জায়গায় কাজ করে। পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়, বৃষ্টি হলেই ঘর দিয়ে জল পড়ে। এখন ছেলে ভালই ঠাকুর তৈরি করেছে। ভবিষ্যতে বড় শিল্পী হোক এটাই চাই আমি।”
আরও পড়ুনঃ Weather Update: আকাশের মুখ ভার! পুজোয় ভয়ঙ্কর দুর্যোগের আশঙ্কা! আতঙ্কের প্রহর গুনছে উত্তররে জেলা
প্রতিমা শিল্পী রঞ্জু বলেন,”ছোট থেকেই ঠাকুরগড়ার কাজ করি, প্রথমে লক্ষ্মী, গণেশ ,সরস্বতী তৈরি করতাম এখন দুর্গা তৈরি করছি। যখনই ফাঁকা পাই তখনই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। এবছর সাতটা দুর্গার অর্ডার রয়েছে । বৈঁচিগ্রামে সিংহ বাড়িতে সেখানেও এবছর দুর্গা করছি। এছাড়া দিগশুই ,পাগড়ী, মোবারকপুর, ত্রিবেণীর চন্দ্রহাটিতেও বারোয়ারির দুর্গা তৈরি করছি। দশম শ্রেণীর পর আর পড়াশোনা করতে পারেনি। কারণ বাবার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালছিল না। নেমে পড়েছিলাম প্রতিমা তৈরি করতে।”
দুর্গা পুজো ২০২৪|Durga Puja 2024, ফিচার , পুজো 360, পুজো ইন্টিরিয়র, পুজোর রেসিপি, দুর্গা পুজোর ভ্রমণ, বনেদি বাড়ির পুজো, জেলার পুজো, অন্য পুজো
রাহী হালদার





