এদিন সকালে পুজোর পর মন্দির থেকে মায়ের রূপোর ঘট নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। ঢাক বাজনা সহ ঘোড়ায় টানা রথের ওপর বিশেষ ছাতার তলায় ঘট নিয়ে বসেন পুরোহিতরা। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শোভাযাত্রা যায় কৃষ্ণসায়রে। সেখানে মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ঘট জলপূর্ণ করেন। এরপর তা নিয়ে এসে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ছিলেন জেলার পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক ও অন্যান্য আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন- অরিজিৎ সিং কত টাকা নেন ‘বিয়ে’-তে গান গাইতে? চমকে যাবেন টাকার অঙ্ক শুনলে
আরও পড়ুন-অকালে চলে গেলেন সলমনের কাছের মানুষ, পুজোর মরশুমে শোকের ছায়া বিনোদন জগতে
অন্যান্যবারের মতো এবারও মহালয়ার পর প্রতিপদে ঘট উত্তোলনের শোভাযাত্রায় অগণিত বাসিন্দারা ভিড় করেন। ঘট প্রতিষ্ঠার পর জ্বালানো হয় একশো আট প্রদীপ। জ্বালানো হয় মঙ্গলদীপ। শুরু হয় চন্ডীপাঠ। ঘট প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে এদিন মন্দিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল সকাল স্নান সেড়ে নতুন পোশাক পরে ঘট প্রতিষ্ঠার সাক্ষী থাকতে মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
বর্ধমান রাজ প্রতিষ্ঠিত মা সর্বমঙ্গলাকে রাঢ়বঙ্গের দেবী বলা হয়। মা সর্বমঙ্গলা অষ্টাদশভূজা, সিংহবাহিনী, অসুর দলনী। এই মন্দিরের পুজোর নির্ঘণ্ট মেনে বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ রাঢ় বঙ্গের বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধমানের বাসিন্দারা যাবতীয় মঙ্গল কাজের আগে মা সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেন। পুজোর চারদিন মন্দিরে অগণিত ভক্তরা ভিড় করেন। অন্নভোগ গ্রহণ করেন। আগে মেষ, মহিষ ও ছাগল বলি হত। এখন পশুবলি বন্ধ। মন্দিরে নিত্য পুজো হয়। প্রতিদিন ভক্তরা মধ্যাহ্নে অন্নভোগ গ্রহণ করেন।