চারদিকে সবুজের সমারোহ। ঘন সবুজে ঢাকা বট অশ্বত্থ। হাত বাড়ালেই সবুজ ধান ক্ষেতে সোনালি রোদের লুটোপুটি। মন মাতানো স্নিগ্ধ পরিবেশ। শহরে দূষণ ঠেকাতে মুখ ঢাকতে হয়। এখানে মিলবে বিশুদ্ধ অক্সিজেন। বুক ভরে শ্বাস নিন কোনও সংকোচ না রেখে।এখানে এখন অন্য রূপ দামোদরের। আরও সুন্দর। চিক চিক করছে বালি। তার ওপর রূপালি ফিতের মতো এঁকেবেঁকে পড়ে রয়েছে দামোদর। কাশফুলে ভরে উঠেছে চারপাশ।
advertisement
আরও পড়ুন Durga Puja 2022| Photo: এবার পুজোর লেটেস্ট ককটেল শাড়ি, অভিনব ভাবনা Ummaira-র
মৃদুমন্দ হাওয়া ঢেউ খেলছে কাশের মখমলে। প্রকৃতি যেন একের পর এক নৈসর্গিক ছবি এঁকে চলেছে আপন খেয়ালে। দামোদরের মাটির পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে শুনবেন বউ কথা কও য়ের ডাক,দোয়েল, ফিঙে, মাছরাঙা, বুলবুলিদের সঙ্গে দেখা হবেই হবে। আকাশে ডানা মেলা শঙ্খচিল জানান দেবে শারদীয়ার।
থাকার জন্য দামোদরের পাশেই রয়েছে সেচ দফতরের বাংলো। চারটি ঘর আধুনিক আসবাবে সাজানো। আভিজাত্যের সচেতন স্বাক্ষর পরতে পরতে। সব ঘরই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ভাড়া মাত্র সাড়ে চারশো টাকা। আপনার চাহিদা মতো রান্না করে দেবেন কর্মীরা। ঘরের জন্য যোগাযোগ করতে হবে বর্ধমানের কোর্ট কম্পাউন্ডে দামোদর ক্যানাল ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে। সল্টলেকে সেচ দফতরের অফিস থেকেও ঘর বুক করা যায়। এছাড়াও ইমেলে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন Durga Puja 2022| Photos: এবার পুজোয়ে ট্রেন্ড রুপোর গয়না, চলে আসুন গড়িয়াহাটের এম বণিকে
কীভাবে যাবেন? হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইন লোকালে হাওড়া থেকে দেড় ঘণ্টায় পৌঁছে যান পাল্লা রোড স্টেশনে। সেখান থেকে সেচ বাংলো ই রিকশয় পনের মিনিটের পথ।দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ধরেও দেড় ঘণ্টায় কলকাতা থেকে পাল্লা রোড পৌঁছে যেতে পারবেন আপনি। তাহলে আর দেরি কেন? কাছে পিঠে পাল্লা রোডই হোক আপনার পছন্দের ডেস্টিনেশন।