বীরভূমের নানুর বাঙালির প্রিয় রামী চন্ডীদাস স্মৃতিধন্য স্থান। এখানে রয়েছে চণ্ডীদাসের বিশালাক্ষী মন্দির সহ কমকরে ১৪টি বিভিন্ন ধরনের মন্দির। এই সকল মন্দিরগুলির গায়ে রয়েছে ১৮ শতকের টেরাকোটার কাজ। এছাড়াও রয়েছে আরও বেশ কিছু ঐতিহাসিক জায়গা, রয়েছে চন্ডীদাস রামীর স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থান। এছাড়াও যে পাটাতে রজকিনী কাপড় কাচতে সেই পাটা এখন সযত্নে রাখা রয়েছে। বৈষ্ণব এই কবি চন্ডীদাস এবং রামীকে ঘিরে নানান মিথ প্রচলিত রয়েছে। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ নানুরের এই বিভিন্ন জায়গায় তাদের সংরক্ষণে রেখেছে। এখানে রয়েছে চণ্ডীদাস এবং রামী যুগলের মূর্তি।
advertisement
কীর্ণাহারকে যদি কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে নানুর, লাভপুর ইত্যাদি এলাকা ঘুরতে যাওয়া হয় তাহলে নানুরের ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থানগুলি দর্শন করার পাশাপাশি ঘুরে নেওয়া যেতে পারে কীর্ণাহারে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর বাড়ি। এর পাশাপাশি ঘুরে নেওয়া যেতে পারে বীরভূমের অন্যতম সতীপীঠ ফুল্লরা মন্দির। এছাড়াও ঘুরে নেওয়া যেতে পারে কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মভিটে ধাত্রীদেবতা, হাঁসুলী বাঁক ইত্যাদি।
পর্যটকরা যারা এই সকল জায়গায় ভ্রমণ করতে আসবেন তারা থাকা-খাওয়ার জন্য বেছে নিতে পারেন কীর্ণাহার, ফুল্লরা তলা অথবা বোলপুর। বোলপুর থেকে লাভপুরের ফুল্লরা মন্দিরের দূরত্ব ২৬-২৭ কিলোমিটার। অন্যদিকে বোলপুর থেকে নানুর, কীর্ণাহারের দূরত্ব যথাক্রমে ২০ এবং ৩০ কিমি। এছাড়াও এখানে থাকা-খাওয়ার জন্য হোটেল রয়েছে।
আরও পড়ুন: পুজোর দিনে ছোট্ট ভ্রমণ পছন্দ? কলকাতার সামান্য দূরে যেতে পারেন এখানে!
মাধব দাস