আরও পড়ুন: প্রতিমায় ঘরোয়া টান আর আভিজাত্যের আঁচ! স্মৃতির মোড়কে লাটাগুড়ির পাল চৌধুরী বাড়ির পুজো...
সুন্দরবনের গোসাবার প্রত্যন্ত দ্বীপ ছোট মোল্লাখালির হেতালবেরিয়া গ্রামের পরামান্য পরিবার। শহর থেকে এই গ্রামের দূরত্ব আনুমানিক ২০০ কিলোমিটার। পরামান্য পরিবারের পুজো এখন পুরোনো ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়। হেতালবেরিয়া গ্রামের পুজোই প্রত্যন্ত সুন্দরবনের এই এলাকার একমাত্র পুজো (Durga Puja 2021)। সুন্দরবনের অসহায় দরিদ্র পরিবারের মানুষরা এই পরামান্য পরিবারের পূজাকে নিজেদের পুজো মনে করে, পুজোর দিনগুলো কাটিয়ে দেন। যার যতটুকু সামর্থ্য তা দিয়েই মাতৃবন্দনা করেন প্রত্যন্ত সুন্দরবনের এই অসহায় মানুষগুলি।
advertisement
৫০ বছর আগে পূর্ববঙ্গে পুজোর (Durga Puja 2021) সূচনা। পরামান্য পরিবারের পুলকেশ পরামান্য জানান, তার ঠাকুরদা এই পুজো সূচনা করেছিলেন। সেই থেকেই পরামান্য পরিবারের দুর্গাপূজার (Durga Puja 2021) প্রচলন। কিন্তু পূর্ববঙ্গ ছেড়ে যখন ভারতবর্ষে চলে আসেন পরামান্য পরিবার, সেই থেকে বেশ কিছু বছর পুজো বন্ধ থাকে। পরামান্য পরিবারের পুলকেশ পরামান্য নতুন করে আবার মায়ের আরাধনার আয়োজন করেছেন।
এই পুজোকে ঘিরে গ্রামের মানুষের মনে খুশি হাওয়া লেগেছে। শহরের লাখ টাকার বাজেটের পুজোর কাছে, এই পুজো অতি সাধারণ, ঘরোয়া। না আছে প্যান্ডেলের বাহার না আছে থিমের ছোঁয়া। শহর অঞ্চলের মতন নেই জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশ, আলোর রোশনাই। বাহারি খাওয়ারের স্টল। প্রত্যন্ত এই সুন্দরবন এলাকায় পরামান্য পরিবারের কোনরকমে করা দু-চালার তাবুর প্যান্ডেলে, এবার মা দুর্গা-কে দেখতে ভীড় জমাবে সুন্দরবনের অসহায়, সহায় সম্বলহীন পরিবারের কচিকাচা থেকে বৃদ্ধরা। এতেই তাদের শারদ আনন্দ।
রুদ্র নারায়ন রায়