বেনেপাড়ার এই বেনেবাড়ির সদস্য উদয় শংকর সাধু পুজোর উৎপত্তি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, "১২৭০ বঙ্গাব্দে প্রথম এই পুজো শুরু হয়। মহানন্দ সাধু এবং প্রমানন্দ সাধু এই পুজোর শুরু করেছিলেন। আমাদের দেবী দুর্গার চতুর্ভূজা এবং সিংহবাহিনী দেবী। আমাদের পূর্বপুরুষরা স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই চতুর্ভূজা দেবীর পুজো শুরু করেন।"
পুজোর ক্ষেত্রেও রয়েছে দীর্ঘ বছরের রীতিনীতি। পুজোর চার দিন আলাদা আলাদা ভোগ নিবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন উদয় শংকর সাধু। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, "আমাদের এই পুজোয় দেবী দুর্গাকে আতবের কদমা দেওয়ার রীতি রয়েছে। এই আতবের কদমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়াও বাকি দিনগুলিতেও দীর্ঘ বছরের রীতিনীতি মেনে আলাদা আলাদা ভোগ দেওয়া হয়ে থাকে।"
advertisement
একসময় এখানকার দেবী দুর্গা টিনের চালা এবং জরাজীর্ণ ঘরেই পূজিত হয়ে আসতেন। তবে পরবর্তীকালে সেই ঘর বা মন্দিরের অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হলে ১৪১৩ বঙ্গাব্দে সেই জরাজীর্ণ মন্দির ভেঙে নতুন কংক্রিটের মন্দির তৈরি করা হয়। বর্তমানে নতুন মন্দিরের গঠনে আধুনিকতার ছোঁয়া লক্ষ্য করা যায়। এই মন্দিরে প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় মহাষষ্ঠীর দিন মহালক্ষ্মীকে আনা হয়। তারপর পুজোর চার দিন দেবী দুর্গার আরাধনা সঙ্গে সঙ্গে চলে মহালক্ষ্মীর আরাধনা। অন্যদিকে বিজয়া দশমীর দিন চতুর্ভূজা দেবী দুর্গার বিসর্জন দেওয়ার আগে মহালক্ষ্মীকে যথাযথ স্থানে রেখে আসা হয়। অন্যদিকে এখানকার চতুর্ভূজা দেবীর চার হাতে অস্ত্রের পাশাপাশি দেওয়া হয় চারটি পদ্মফুল।
মাধব দাস
আরও পড়ুন: দেবীদুর্গার পুজোর পাহারায় থাকেন ভদ্রাকালী ! নেপথ্যে রয়েছে আশ্চর্য কাহিনি