কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে ঈশ্বরচিন্তা এবং ধর্মালোচনার জন্য আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই শান্তিনিকেতনে এখন দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন। শান্তিনিকেতনে যে সকল দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেগুলি হল, শান্তিনিকেতন ভবন, ছাতিমতলা, উপাসনা গৃহ বা কাচ মন্দির, তালধ্বজ, তিনপাহাড় ও আম্রকুঞ্জ, দেহলি, ঘণ্টাতলা, বকুলবীথি, উত্তরায়ণ প্রাঙ্গন, কোনার্ক, শ্যামলী, পুনশ্চ, উদীচী, বিচিত্রা, কালোবাড়ি, চিত্রভানু গুহাঘর, নিপ্পনভবন, মুকুটঘর, কলাভবন, সঙ্গীত ভবন, চিনা ভবন, নাট্যঘর হিন্দি ভবন, দ্বিজবিরাম, চৈতি, দিনান্তিকা, সিংহসদন, পূর্ব ও পশ্চিম তোরণ ইত্যাদি।
advertisement
এর পাশাপাশি শান্তিনিকেতন ঘুরতে এসে অন্যতম বেড়ানোর জায়গা হল খোয়াই হাট। এছাড়া রয়েছে বল্লভপুরের অভয়ারণ্য ডিয়ার পার্ক, কঙ্কালিতলা, আমার কুটির ইত্যাদি জায়গায়। এই সকল জায়গা রয়েছে শান্তিনিকেতন থেকে সামান্য দূরে। শরতের পড়ন্ত বিকেলের আকাশ আর দূর থেকে ভেসে আসা পুজোর ঢাকের (Durga Puja 2021) আওয়াজে খোয়াইএর ধারে বসে থাকাও এক মনোরম আনন্দ দেয়।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে শান্তিনিকেতনে আসার জন্য রেল এবং সড়ক দুই মাধ্যমই রয়েছে যোগাযোগের জন্য। কলকাতা অথবা উত্তরবঙ্গ যে কোনও জায়গা থেকেই সহজে আসা যেতে পারে শান্তিনিকেতনে। বীরভূমের পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে শান্তিনিকেতনে রয়েছে থাকা ও খাওয়ার জন্য অজস্র নামীদামি হোটেল ও রেস্তোরাঁ। দামি রেস্তোরাঁ ছাড়াও অল্প বাজেটের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন হোটেল। পাশাপাশি শান্তিনিকেতনে এসে পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘুরতে যাওয়ার জন্য সহজেই যেকোনও ধরনের যানবাহন ভাড়া হিসেবে পাওয়া যায়।
এমনকি পর্যটকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে সমস্ত জায়গা ভ্রমণ করতে পারেন তার জন্য রয়েছে গাইডের ব্যবস্থাও। তবে এই প্রসঙ্গে জেনে রাখা ভাল, করোনা পরিস্থিতির জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় যেসকল ভবন এবং মিউজিয়াম রয়েছে সেগুলির ভিতরে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে বাইরে থেকে এই সকল দর্শনীয় স্থান দর্শন করা যেতে পারে। শান্তিনিকেতন থেকে আর একটু দূরেই রয়েছে প্রান্তিক। হাতে একটু বেশি সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকেও।
মাধব দাস
আরও পড়ুন- ঔরঙ্গজেব থেকে যদু ভট্ট, এই রাজবাড়ির পরতে-পরতে ইতিহাস! পুজোয় থাকতেও পারেন.