নলাটেশ্বরী মন্দিরে প্রতিদিন ভোর পাঁচটার সময়ে মায়ের স্নান এবং মঙ্গলারতি করা হয়। আগত পুণ্যার্থীরা চাইলে নিজে হাতে মাকে স্নান করিয়ে মঙ্গলারতি করতে পারেন। দর্শন করতে পারেন মায়ের কণ্ঠনালীও। এছাড়াও এখানে বর্তমানে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য ভোগের বন্দোবস্ত করা হয়েছে পুজো কমিটির তরফ থেকে। মাত্র ৫১ টাকার বিনিময়ে সেই ভোগ পেতে পারেন পুণ্যার্থীরা। এই মন্দিরে তৈরি করা হয়েছে একটি প্রবেশদ্বার এবং নাট মন্দির তৈরির কাজ চলছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তদের আগমন হয়ে থাকে।
advertisement
নলহাটির নলাটেশ্বরী মন্দির ছাড়াও মন্দিরের সন্নিকটেই রয়েছে বর্গীডাঙ্গা টিলায় একটি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পীর বাবার মাজার। যা এখনকার দুই ধর্মের সম্প্রীতির অন্যতম উদাহরণ। এছাড়াও নলহাটিতে ব্রাহ্মণী নদীর তীরে রয়েছে একটি শতাব্দী প্রাচীন মহানির্বাণ মঠ। পাশাপাশি নলহাটি দু'নম্বর ব্লকের আকালিপুরে রয়েছে গুহ্যকালী। এই গুহ্যকালীর মন্দির নির্মাণ করেছিলেন মহারাজা নন্দকুমার। অন্যদিকে এই কালীমূর্তি নির্মাণ প্রসঙ্গে জানা যায়, এটি মগধরাজ জরাসন্ধ দ্বারা নির্মিত। এখানকার এই কালী মূর্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকার দরুণ ওয়ারেন হেস্টিংস এই মূর্তি লন্ডনের জাদুঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যদিও তার হাত থেকে রক্ষা করতে চৈত সিংহ সেটিকে গঙ্গাবক্ষে লুকিয়ে রাখেন।
আরও পড়ুন- পুজোয় বাড়িতেই তৈরি করুন সুস্বাদু গুড় সন্দেশ! রেসিপি জেনে নিন চটপট
এছাড়াও নলহাটিতে ঘুরে দেখার মতো রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামী দুকড়িবালা দেবীর গ্রাম ঝাউপাড়া। দুকড়িবালা দেবী ছিলেন পরাধীন ভারতের প্রথম অস্ত্র আইনে দণ্ডিত মহিলা। রামপুরহাট থেকে সহজে নলহাটি যাওয়া যায়। অন্যদিকে নলহাটি জংশন থেকেও সহজে নলহাটির এই সকল জায়গা ঘুরে নেওয়া যেতে পারে। থাকার জন্য তেমন কোনও বিলাসবহুল হোটেল না থাকলেও নলাটেশ্বরী মন্দিরে রয়েছে কমিটির দ্বারা নির্মিত রাত্রিবাসের জায়গা। যেখানে স্বল্প খরচে আগত পুণ্যার্থীরা রাত্রি বাস করতে পারবেন।
মাধব দাস
