ঝাড়গ্রাম শহরের নতুনডিহি এলাকায় রয়েছে মা কিরণবালা মৃৎশিল্পালয়। যেখানে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মা দুর্গার প্রতিমা গড়ে চলেছেন মৃৎশিল্পী শিবশঙ্কর সিংহ। এই বছর তার মৃৎশিল্পালয়ে দশটি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ১১ ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমা রয়েছে তার মৃৎশিল্পালয়। প্রতিবছর এই মৃৎশিল্পালয় থেকে বেশ কয়েকটি দুর্গা প্রতিমা চলে যায় পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড। চতুর্থীর দিন মৃৎশিল্পালয় ছেড়ে ঝাড়খন্ড রাজ্যের পুজো মণ্ডপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দেবী দুর্গা। বর্তমান সময়ে দিবারাত্রি এক করে দুর্গা প্রতিমাতৈরির কাজ চলছে শেষ মুহূর্তের ।
advertisement
আরও পড়ুন : সন্ধে হলেই ছমছমে পরিবেশ, শালের জঙ্গল মুখরিত ঝিঁঝিঁর ডাকে, পুজোয় একরাতের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, রইল ঠিকানা
জঙ্গলমহল থেকে প্রতি বছর মা দুর্গা ঝাড়খন্ডে পাড়ি দেওয়ায় যথেষ্ট গর্বিত ঝাড়গ্রামের মৃৎশিল্পী শিবশঙ্কর সিংহ।মৃৎশিল্পী শিবশঙ্কর সিংহ বলেন,”দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এখানে আমি দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরি করছি। প্রতিবছর দুর্গাপুজোর সময় ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে বহু পুজো কমিটি আমার এই মৃৎশিল্পালয় থেকে প্রতিমা নিয়ে যায়। এই বছরও বেশ কয়েকটি প্রতিমা ঝাড়খন্ড রাজ্যের চাকুলিয়া, ধলভূঙ্গগড় সহ বিভিন্ন জায়গায় যাবে। প্রতিমা তৈরির কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। এখন রং এবং চক্ষুদান চলছে কিছুদিনের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। চতুর্থীর দিন আমার মৃৎশিল্পালয় ছেড়ে মা দুর্গা চলে যাবে ঝাড়খন্ডে”।
আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রামের এই প্রত্যন্ত গ্রামে উপচে পড়ছে পর্যটকের ভিড়, কারণ জানলে অবাক হবেন
তিনি আরওবলেন,”বিগত ৪০ বছর ধরে আমি কেবলমাত্র সাবেকিয়ানার দুর্গা প্রতিমা তৈরি করি। কখনওথিমের প্রতিমা তৈরি করি না। কারণ থিমের প্রতিমা তৈরি করা মানে মায়ের বিকৃত ঘটনা। তাই আমি মায়ের প্রকৃত রূপ প্রতিবারই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি সাবেকিয়ানার মধ্য দিয়ে”। জঙ্গলমহলের মা দুর্গা পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মালভূমি এলাকায় পাড়ি দেওয়ায় নিজেদের যথেষ্ট গর্বিত বোধ করছে ঝাড়গ্রামের মৃৎশিল্পীরা।
দুর্গা পুজো ২০২৪, ফিচার , পুজো 360, পুজো ইন্টিরিয়র, পুজোর রেসিপি, দুর্গা পুজোর ভ্রমণ, বনেদি বাড়ির পুজো, জেলার পুজো, অন্য পুজো
বুদ্ধদেব বেরা