শীতের ওমে উষ্ণতার আবেশ। কনকনে ঠান্ডা না হলেও, শীত পড়ছে বাংলায়। আর বাংলায় শীত মানেই মেলা, চুটিয়ে আউটিং , নলেন গুড়, খেজুর রস, মোয়া। আরও অনেক কিছু। সময়ের সঙ্গে অনেককিছু বদলালেও জয়নগরের মোয়া আজও বাঙালির হট ফেভারিট। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারবারে আসল জিরান কাঠের গুড়ের মোয়া আজ অধরা। স্থানীয় নলেন গুড় নয়, জেলার বাইরে থেকে থেকে আসছে নকল নলেন গুড় । যা তৈরি হয় চিনি আর রাসায়নিক মিশিয়ে ।
advertisement
কার্তিক মাসের মাঝামাঝি কাটা হয় খেজুর গাছ। তারপর ১৪ দিন ধরে শুকোনোর পালা। । শিউলি , অর্থাৎ যাঁরা গাছে উঠে রস সংগ্রহ করেন, তাঁরাই পরিশ্রম করে এই কাজটা করেন। তারপরই আসে আসল জিরান কাঠের গুড়। এই গুড়েই মোয়ার স্বাদে আসে অন্য অন্য মাত্রা। কিন্তু এই স্বাদ আজ অমিল। কমে যাচ্ছে গাছ। শিউলির সংখ্যাও আগের চেয়ে অনেক কম। তার জেরেই আসল গুড়ের দেখা মিলছে না।
জয়নগর বহরুর স্টেশন থেকে বাজারের দিক এগোলে সার দিয়ে মোয়ার দোকান। সেখানে এখন ষাট থেকে আশি টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল গুড়। যেখানে আসল জিরান কাঠের নলেন গুড়ের দাম চারশো থেকে সাড়ে চারশো টাকা প্রতি কেজি।
প্রশাসনের কাছে নকল নলেন গুড়ের কারবার বন্ধের আবেদন জানিয়েছেন বহরু ও জয়নগরের মোয়া প্রস্তুতকারকরা। তবেই শীতের মরসুমে বাঙালির পাতে তুলে দেওয়া যাবে জিরাট কাঠের আসল নলেন গুড়ের মোয়া।