কৃষকরা বলছেন, অসময়ে বৃষ্টিপাত তাদের সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। বহু জমি টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। যদিও জল নামতে শুরু করেছে।।কিন্তু তাদের চিন্তা কমছে না। কারণ এই ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জমিতে দেওয়া কীটনাশক নষ্ট হয়েছে। ফলে নতুন করে আবার তাদের কীটনাশক দিতে হবে। দিতে হবে সার। তাছাড়াও ফসল উঠতে দেরি হবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: কমছে না হাতি মানুষ দ্বন্দ্ব! গত এক মাসে মৃত তিন
তারা বলছেন, এখনও বেশ কিছু জমি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। সেই জমিগুলি থেকে জল নামেনি। অথচ ধান অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় জমিতে জল জমে থাকলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে কৃষকদের বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এমনিতেই অসময়ের বৃষ্টিপাতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। ফসল তুলতেও দেরি হবে। যে কারণে শীতকালীন চাষ করতে গিয়েও সমস্যায় করতে হবে সমস্ত কৃষকদের।
একদিকে যখন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বন্যা পরিস্থিতির কারণে বহু মানুষ আশ্রয় হারিয়েছেন, বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে, তেমন সময় কৃষি জমিগুলিও জলের তলায়। যা খুব স্বাভাবিকভাবে কৃষকদের বড় চিন্তার মধ্যে ফেলেছে। তারা বলছেন, যদি সময় বৃষ্টি হত, তাহলে কৃষকদের কৃষি কাজে সুবিধা হত। কিন্তু অসময়ে বৃষ্টিপাত তাদের বিপদের মধ্যে ফেলেছে। দ্রুত জমিগুলি থেকে জল নামানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। কারণ জমি জলমগ্ন হয়ে থাকলে ফসলের সিকিভাগও তারা ঘরে তুলতে পারবেন না।
নয়ন ঘোষ